পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সবুজ ও টেকসই ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট নামে একটি ডকুমেন্টে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক। এ চুক্তির আওতায় সবুজ এবং টেকসই অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে ঢাকাকে সহযোগিতা করবে কোপেনহেগেন। গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ঢাকা সফররত ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন ডকুমেন্ট স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথের উপস্থিতিতে ফ্রেমওয়ার্ক ডকুমেন্ট সই করা হয়। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা মোলার এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। ডকুমেন্ট সই বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যে ডকুমেন্ট সই করলাম এটা জেনারেল ফ্রেমওয়ার্ক। এর আওতায় আমরা অনেকগুলো অ্যাকশন প্রোগ্রাম নেব। এতে অনেক কিছু হবে। আবহাওয়া পরিবর্তন ইস্যুতে অভিযোজন ও প্রশমনে যত ধরনের প্রোগ্রাম হবে সেগুলো আমরা টাইম টু টাইম এপ্রোচ করব। যাতে তারা আমাদের এগুলোতে সাহায্য করে। অর্থ সহায়তা দেন। সবুজ ও টেকসই ফ্রেমওয়ার্কে তারা আমাদের জ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করবে।
ড. মোমেন বলেন, ডেনমার্ক আমাদের পুরনো বন্ধু। ৫০ বছর সম্পর্কে ফ্রেমওয়ার্ক ডকুমেন্ট সইয়ের বিষয়টি একটা ল্যান্ডমার্ক। আবহাওয়া ইস্যুটা আমাদের এখানে সিরিয়াস ইস্যু। তারা আমাদের এখানে সাহায্য করবে। ব্লু-ইকোনোমি, ফিশিং এসব প্রযুক্তি ভালো বুঝেন। আমাদের এগুলো প্রয়োজন। সেখানে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে।
ডেনমার্কের উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, আমার প্রথম সফরে বাংলাদেশে এসে এ চুক্তি করতে পারাটা আনন্দের। ডেনমার্ক এবং বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া এজেন্ডায় শক্তিশালী এবং সক্রিয় দেশ। আমরা যে চুক্তি করলাম সেটা বলে দিচ্ছে, প্যারিস আবহাওয়ি চুক্তিতে যেসব অঙ্গীকার হয়েছে; সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত।
রোহিঙ্গা ইস্যু : রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে ডেনমার্ককে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আওয়াজ তোলার জন্য দেশটিকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। পাশাপাশি গাম্বিয়ার করা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় দেশটির সহযোগিতা চেয়েছে ঢাকা।
ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপ হয়েছে। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের বন নষ্ট হচ্ছে। সেখানেও তারা আমাদের সাহায্য করবেন। সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে তাদের রোহিঙ্গা ইস্যু জোরালোভাবে তোলার অনুরোধ করেছি। আমরা বলেছি, এটা জেনোসাইড। এই জেনোসাইড যেন আর কোথাও না হয়। আইসিজেতে মামলা চলছে গাম্বিয়ার। আমি বলেছি, আপনারা তাদের সাহায্য করেন। তারা সায় দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডেনমার্কের রাজকুমারীর সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দেখা করেছেন ডেনমার্কের রাজকুমার ফ্রেডরিকের স্ত্রী ম্যারি। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেখা করেন রাজকুমারী।
এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ম্যারি এলিজাবেথ। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পরে বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে আসেন রাজকুমারী। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য গণভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজকুমারী।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প দেখতে ডেনমার্কের রাজকুমারী কক্সবাজার সফর করবেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।