Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে আইনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছে

মহিলা পরিষদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, সামগ্রিকভাবে দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতিতে, বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে আইনের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়েছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দেশ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্র পরিচালক, গণমাধ্যমকর্মী, নাগরিক সমাজকে সোচ্চার হতে হবে। গতকাল সোমবার সেগুনবাগিচায় সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা সবাই বাঙালি- এই চেতনার আলোকেই হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আদিবাসীসহ সকল নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়।
সংবিধানে সকল মানুষের সমঅধিকারের কথা বলা হলেও গত কয়েক দশক ধরেই সাম্প্রদায়িক হামলা ও বিভিন্ন ধরনের সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতার ঘটনা আমাদের সমাজে ঘটেই চলেছে, যা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ম্লান করে দিচ্ছে।
দেশে সাম্প্রদায়িক ইস্যু নিয়ে সংঘটিত বেশ কয়েকটি সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন মনে হলেও প্রতিটি ঘটনা সাম্প্রদায়িকতার সুতোয় বাধা। ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আসছে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের স্বরূপ উন্মোচিত হচ্ছে না, শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে না, বরং নাগরিক সমাজ, মানবাধিকারকর্মী এবং ভিন্ন মতবাদের মানুষ ও মুক্তচিন্তার মানুষের জন্য যে ধরণের পরিসর থাকা প্রয়োজন তা ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে মডারেটরের বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক, নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ, যুক্তিবাদী সমাজ দেখতে চায় মহিলা পরিষদ। সমাজে সবার অধিকার বাস্তবায়ন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সুযোগ থাকে। কিন্তু বাস্তবে বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের অর্থনৈতিক সূচকে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ বেড়েছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে উন্নয়নের ছোঁয়া নিজের জীবনে কোথায় তা সবার জন্য ভাবার সময় এসেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ