পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশে মোট সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার দেশে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আনছে। দেশের উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সারা অনেক অবদান রাখছে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশে গঠনে অনেক কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় ফ্রিল্যান্সারা বেশি বেশি আয় করছে। ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থে আমাদের রেমিট্যান্স দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। যার অবদান সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সােসাইটি (বিএফডিএস) এক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন। বিএফডিএস এর উদ্দ্যোগে সারা বাংলাদেশ থেকে আগত ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে এই ইফতার ও দোয়া মাহিফলের আয়োজন করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকার নানা ধরণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে এটা বড় অর্জনঅ বর্তমান সরকার এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমাদের দেশের ছেলে- মেয়েরা অনেক মেধাবী, স্মার্ট, তারা সহজেই ফ্রিল্যান্সিং কাজটি করতে পারবে। সরকারের দায়িত্ব তরুণদের কাজের সুযােগ করে দেয়া। ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়েছে সরকার। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন গ্রামে বসেই তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় কাজ ছিল।
অনুষ্ঠানে বিএফডিএস প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন জয় বলেন ফ্রিল্যান্সারদের সুখে-দুঃখে সবসময় আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের জীবনমান উন্নয়নসহ মেধা ও প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতিতে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে চলেছে বিএফডিএস।
সভাপতির বক্তব্যে বিএফডিএস’র চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংকিং ঋণসহ অন্যান্য সুবিধাদি পাচ্ছে। ঘরে বসে মহিলারাও ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপর্জন করছে। বাংলাদেশের এই আন্তজার্তিক অনলাইন প্লাটফর্মে কর্মরত এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। বিএফডিএস এই সকল সমস্যা সমাধানে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, আর্থিক, সামাজিক ব্যবস্থাপনা বাধাগুলো নিরসনে সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, আমরা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আলাদা ম্যাটিক্স কার্ড করেছি। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নানা সুযোগ সুবিধাদি পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, আমরা ঘরে ঘারে চাকরি দিতে পারবো না। তবে ঘরে ঘরে ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে পারবো। এদের উন্নয়নে নানা ধরণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।