পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নিম্নস্তরের সিগারেট সমগ্র সিগারেট শিল্পের ৭৫ শতাংশ জায়গা দখল করে থাকলেও গত ২ বছর ধরে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে এই স্তরের ধুমপায়ীর সংখ্যা কমছে না। তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে এক সেমিনারে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আহছানিয়া মিশন ঢাকা ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘টোব্যাকো প্রাইস অ্যান্ড ট্যাক্স’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই প্রস্তাব দেন।
রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) গ্র্যান্ড ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী।
বক্তারা বলেন, গত দুই বছর ধরে বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। জাতীয় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতিকে বিবেচনায় নিয়ে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন বলে তারা মত দেন। তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই।
উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী মূল প্রবন্ধে বলেন, সিগারেটের বর্তমান শুল্ক কাঠামো বেশ জটিল। এটিকে আরও সহজ করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি প্রতি দশ শলাকার নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা, মধ্যস্তরের সিগারের প্রতি প্যাকেট ৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি উচ্চস্তরের সিগারেটের প্রতি প্যাকেটের দামও সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, এ প্রস্তাব কার্যকর করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় হবে। পাশাপাশি ধুমপায়ী কমবে ১৩ লাখ এবং ৯ লাখ তরুণ ধুমপান করতে নিরুৎসাহিত হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উপ পরিচালক মোখলেছুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যে কর বাড়ানোর বিকল্প নেই।
সিটিএফকে গ্র্যান্ডস্ ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এতে দারিদ্র বিমোচন যেমন হবে তেমনি তামাকজনিত রোগের পেছনে সরকারের ব্যয় কমে আসবে।
ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বলেন, তামাক নিয়ে সরকার উভয় সংকট আছে। সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, আবার রাজস্বের জন্য তামাক খাতে নির্ভরশীলতা রয়েছে। তবে ধুমপান কমাতে হলে সিগারেটের দাম বিশেষ করে নিন্মস্তরের সিগারেটের বাড়াতে হবে। কেননা ৭৫ শতাংশ সিগারেট ধুমপায়ী নিন্মস্তরের সিগারেট ব্যবহার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।