পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শহর পরিষ্কার রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহŸান জানিয়ে তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে। তিনি বলেন, ঢাকায় সোয়া ২ কোটি মানুষ। সবাই মনে করে আমার ময়লা করার অধিকার আছে, পরিষ্কার করবে শুধু সিটি করপোরেশন। আমার যেখানে ইচ্ছা সেখানে ময়লা ফেলবো। নর্দমায় ফেলবো, বাড়ির উপর থেকে নিচে ছুড়ে মারবো, রাস্তায় ফেলবো, আমার কোনো দায়িত্ব নেই। প্রত্যেকটা মানুষ যেন মনে করে আমার কোনো দায়িত্ব নেই। দায়িত্ব শুধু সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের। এভাবে কোনো দিন একটা শহর বসবাসযোগ্য রাখা সম্ভব না। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে। গতকাল আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এ আহŸান জানান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, পলিথিন বন্ধের একটা আইন আছে। এখন সব কিছুতে পলিথিন দেওয়া হয়। মাঝে মাঝে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে তারপর আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। মানুষ অসচেতন। মানুষ যদি পলিথিন না নিত, পলিথিন দিতো না। আইন হওয়ার পর থেকে আমি পলিথিন নেই না। ২০০০ সালে আইন হয়েছে, সরকারে এসেছি তো পরে। আমার স্টাফরা যদি কেউ নেয় আমি নিষেধ করি। মানুষকে সচেতন করা দরকার। এটি না হলে কোনো কিছু রক্ষা করা সম্ভব না।
তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের মানুষ। নোয়াখালী, সিলেট এসব এলাকার প্রচুর বিদেশে থাকে। বাড়ি করার সময় বড় বিলের মাঝখানে একটা জায়গা কেনে। সেখানে বাড়ি করে যাতে বড় রাস্তা থেকে দেখা যায়। গ্রামের ভেতরে করলে তো বড় রাস্তা থেকে দেখা যায় না। বাড়ি করার সময় পরিবেশ-প্রকৃতি কোনো দিকে খেয়াল নেই। আগে শহরে নর্দমার গন্ধের মধ্যে বসবাস করতে হতো বা করতে হয়, এখন গ্রামেও নর্দমার গন্ধের মধ্যে বসবাস করতে হয়। যেসব ঘন বসতিপূর্ণ গ্রাম। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে।
বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির উদ্দেশে বলেন, আপনাদের অনুরোধ জানাবো মাঝে মাঝে ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে আপনারা যদি ট্যুর দেন এবং সেখানে গিয়ে বলেন; এভাবে প্রকৃতি ধ্বংস করবেন না। আপনারা টেলিভিশনের ক্যামেরা সঙ্গে নিয়ে যান। যেহেতু ক্ষমতাসীন দল, সে জন্য অন্য কোনো মেজার নেওয়ার কথা বলবো না। শত কোটি টাকার মালিক, হাজার কোটি টাকার মালিক, গুলশান-বনানীতে অট্টালিকা বানিয়েছেন কিন্তু প্রকৃতি মেরে ফেলবেন না। আমাদের নদীগুলোকে মেরে ফেলবেন না—এই কথা ঢাকা শহরে দু’তিনটা টিম করে বললে মানুষ গ্রহণ করবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ রক্ষা করার জন্য অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।