পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন,বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির বৈঠক সম্পর্কে জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মিটিংয়ের পর আমাদের পক্ষ থেকে যিনি (আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী) বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি কখনোই জার্মান রাষ্ট্রদূতকে কোট করে কোনো কথা বলেননি। আপনারা সেখানে ছিলেন, আপনারা সবই জানেন। তিনি (আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী) সামগ্রিকভাবে ইনজেনারেল যে কথাটা বলেছেন সেটাই উনি (রাষ্ট্রদূত) মিস কোট করেছেন। ডিক্যাব অনুষ্ঠানে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি যে উদ্ধৃতি পড়েছি তা বাস্তবতার সাথে মেলে না। যেখানে বলা হয়েছে, আমি দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এমন শব্দ চয়ন সত্য নয়। এই উদ্ধৃতি নিয়ে আমি অসন্তুষ্ট।
গত ১৭ মার্চ গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার। বৈঠক শেষে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তাদের আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্বন্ধে বিশ্বব্যাপী সবাই অবগত আছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনাও হচ্ছে এটা তো আপনারা জানেন। এসব ব্যাপারে ওনারা কনসার্ন। বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা হচ্ছে, ওনারা তো তার একটা অংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, আমেরিকা বলেছে, ব্রিটেন বলেছে, সবাই বলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে পুস্পমাল্য অর্পন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবগঠিত আংশিক কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়াকে নিয়ে পরে কবরের সামনে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দলের চেয়ারপারসনের খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
এই সময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, আমিনুল হক, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আকরামুল হাসান, ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী নেতৃত্ব ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল উপস্থিত ছিলেন।
জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে বিএনপি মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে সারাদেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে তারা তাদের অক্ষুন্ন রাখবে এবং সামনের দিকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাবে।
দেশে কোনো সরকার নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সংঘর্ষের (নিউ মার্কেট এলাকায়) ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারো প্রমাণিত হয়েছে যে, আসলে দেশে কোনো সরকার নেই। এই সরকার একটা সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকারে পরিণত হয়েছে এবং তারা এই রাষ্ট্রকেও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাদের চোখের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টার সংঘর্ষ হয়েছে দুইটি পক্ষের মধ্যে। সেটাকে তারা(সরকার) বন্ধ করার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। উপরন্তু তাদের কর্মকর্তারা যে বিভিন্নভাবে বক্তব্য দিচ্ছে যে তারা কোনো পক্ষেই ছিলেন না, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তারা এই সংঘর্ষকে আরো বেশি করে ছড়িয়ে দেয়ায় সহযোগিতা করেছে এবং আমরা সবাই জানি যে, এই ধরনের ঘটনাগুলোতে যারা দায়ী থাকে তারা হচ্ছে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা। ওই ঘটনায় যে দুই মারা গেছেন -এই মৃত্যুর জন্য এই হত্যার জন্য তারাই দায়ী।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আমাদের অপরাধটা কী? উনাদের অপরাধ হচ্ছে এদেশে গণতন্ত্রকে ধবংস করেছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, দেশকে তারা দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের লক্ষ্যগুলো ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম দুযোর্গের দিকে গেছে এবং ভয়াবহ এক দুর্নীতির করাল গ্রাসে এদেশকে তারা পতিত করেছে। এসব কারণে দেশের মানুষ দাবি তুলে অবিলম্বে এই মুহূর্তে এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত¡াবধায়নে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং নিরপেক্ষ পার্লামেন্ট তৈরি করা- এটাই এখন সবচেয়ে বড় দাবি এবং আন্দোলন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।