পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের দুশমন পৌত্তলিকদের বিরুদ্ধে ইসলামের প্রথম বিজয় সূচিত হয়েছিল। আল্লাহ তাআ'লা মুসলমানদের এ বিজয় দান করেছিলেন। এটি ছিল কাফের-মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের প্রথম যুদ্ধ। হক আর বাতিলের চূড়ান্ত মোকাবেলা। মুসলমানদের জন্য ছিল বড় একটি চ্যালেঞ্জ এবং কঠিন পরীক্ষা। বদর যুদ্ধের সফলতা কিয়ামত পর্যন্ত মুমিনদের প্রেরণার উৎস হয়ে অবস্থান করবে। তিনি বলেন, সে যুদ্ধে মুসলিম মুজাহিদদের সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও মহান আল্লাহ হযরত জিবরাঈল (আ:)সহ ফেরেশতা পাঠিয়ে মুসলমানদের মদদ যুগিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয়, ঈমানের ওপর মজবুত থেকে এখলাসের সাথে কাজ করলে আল্লাহর গায়েবী মদদ অবধারিত। বর্তমান মুসলমানরা বদরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিশ্ব মুসলিমের উপর নির্যাতন চালাতে কেউ সাহস পাবে না।
গতকাল মঙ্গলবার ১৭ রমজান চিটাগাং রোড তাজমহল চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেম আল্লামা মুফতি ওমর ফারুক সন্দিপী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা এহতেরামুল হক উজানবী, মুফতি এহতেশামুল হক কাসেমী, এ বি এম সিরাজুল মামুন, মাওলানা কবির হোসেন, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা শেখ সাদী, মাওলানা মুশফিকুর রহমান জামাল, মাওলানা আখতারুজ্জামান সাদেকী ও মাওলানা আশরাফুদ্দীন প্রমুখ। মাওলানা হামিদী আরো বলেন, বদর দিবস মুসলিম উন্মাহকে শিক্ষা দেয় যে, এই অন্ধকারচ্ছন্ন ঘুনে ধরা সমাজকে উন্নত মাকামে নিতে হলে প্রয়োজন আল্লাহর নুসরতের। আর আল্লাহর নুসরত পাওয়ার শর্ত হচ্ছে আধ্যাত্মিক শক্তি, যা আমাদের অর্জন করতে হবে। বদর যুদ্ধ মুসলমানদেরকে সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে শেখায়। বদরের যুদ্ধ স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আল্লাহর ওপর দৃঢ় ঈমান ও নির্ভরতাই মুসলমানদের বিজয়ের মূল হাতিয়ার।
মাওলানা ওমর ফারুক সন্দেপী বলেন, ১৭ রমজান মুসলিম উম্মাহর গৌরবময় বিজয়ের ইতিহাস, নতুনভাবে প্রত্যয় জাগায় খোদায়ী কুদরতের অসীমতার সামনে নিজের সব কামনা বিলীন করে দেয়ার। তিনি বলেন, দ্বীন প্রচারের নিমিত্তে সকল ইসলামী শক্তি সহাবস্থান করলে ইসলাম বিদ্বেষীরা একসময় ইসলামের ছায়াতলে আসবে ইনশাআল্লাহ। মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, নামাজরত মুসল্লীদের উপর ইসরাইলী সেনাদের হামলা প্রমাণ করে ইসরাইল একটি চরম সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তারাই বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্তক হুমকি সরূপ। সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে ইসরাইলী সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করা।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমরা ইসলামবিদ্বেষীদের কর্তৃক জুলুম নির্যাতনের শিকার। ইসলাম বিদ্বেষীরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর মুসলমানরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নীরবে বসে আছে। এটা ইসলামের শিক্ষা নয়। আমাদের উচিত বদর যুদ্ধের ন্যায় জুলুমের মোকাবেলায় আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি ধৈর্য, হেকমত অবলম্বনসহ ইসলামের সৌন্দর্যকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। তিনি বাংলাদেশে ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ: প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের পতাকাতলে সমবেত হওয়ার আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।