পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলনের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, যে কোন রাষ্ট্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া। এই দুইগুন না থাকলে রাষ্ট্রের বিকাশ, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি থমকে যায়। রাষ্ট্রের উন্নয়ন ব্যাহত হয়। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশ স্থিতিশীল না; ভারসাম্যপূর্ণ না। যার খেসারত দিচ্ছে রক্তে কেনা বাংলাদেশের কোটি জনতা। গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুরস্থ গ্র্যান্ড প্রিন্স কনভেনশন সেন্টারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, এই অস্থিতিশীলতার মূল কারণ ইসলামী অনুশাসন মান্য না করা। ব্যক্তি জীবনে ইসলামের নির্দেশনা মেনে লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা, ক্ষমতার মোহ, দুনিয়ার মোহ দূর করে তাকওয়া, খোদাভীতি, কল্যাণকামিতা, অল্পে তুষ্টি অর্জন করতে পারলে এই পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হতো।
সংগঠনের মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আমীনুল ইসলাম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কে এম আতিকুর রহমান ও লোকমান হোসেন জাফরী।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনঃ বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, আমাদের তাকওয়া আত্মসংযম এবং আনুগত্যের গুণাবলী অর্জিত হলে বদরের যুদ্ধের মত সব কাজে সফলতা আসবে। তিনি বলেন, কোরআনের বিধান অনুসারে মহানবী (সাঃ) মাত্র ২৩ বছরে আইয়ামে জাহিলিয়্যাতকে আলোকিত সমাজে রুপান্তরিত করেছিলেন।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মহানগরীর কদমতলী থানা আয়োজিত বদর যুদ্ধের তাৎপর্য ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কদমতলী থানার আমীর মাওলানা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী প্রিন্সিপাল শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর নায়েবে আমীর মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, ঢাকা মহানগরীর নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা মাহবুবর রহমান, মাওলানা বেলাল হোসেন ফারুকী, মাওলানা এহতেশামুল হক, আমিনুল ইসলাম মজুমদার, মুহাম্মাদ আব্দুর রব, এডভোকেট আল আমিন ভূইয়া, মুফতী আবু বকর সিদ্দিকী, হাফেজ মাওলানা রেজাউল করীম ও হাফেজ ওসমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।