পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনে কে অংশ নেবে আর কে নেবে না, সে বিষয়ে কোনো দলকে ফোর্স করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নয়। তবে দায়িত্ব থাকবে আহ্বান করা যে, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। নির্বাচনে অংশ না নিলে কিন্তু গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত সংলাপ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন। আজ সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির চতুর্থ ধাপের এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে তিন দফায় বৈঠক করে ইসি। আজকের বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, নির্বাচনে কে অংশ নেবে আর কে নেবে না, সে বিষয়ে ফোর্স করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে দায়িত্ব থাকবে আহ্বান করা, যে আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। নির্বাচনে অংশ না নিলে কিন্তু গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। গণতন্ত্র বিকশিত হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। সবাইকে চেষ্টা করতে হবে একটা সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য। তিনি বলেন, সংলাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কথা এসেছে। আমরা এরইমধ্যে এটি নিয়ে কয়েকটি মিটিং করেছি। যেহেতু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু ইভিএমের যে সুবিধাটা সেখানে পেশিশক্তির ব্যবহার হ্রাস করতে পারে, যেখানে সিল দিয়ে ব্যালট বাক্স পূরণ করা যায় না। কাজেই ইভিএমের ভালো দিক আছে। আমরা ইভিএম নিয়ে স্টাডি করছি। নির্বাচনে কেউ আসল কি আসল না এটা আমাদের দায়িত্ব নয়, সংলাপে কেউ কেউ এমন বলেছেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে স্বচ্ছতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিচরণ যদি থাকে, তারাও রিপোর্ট করতে পারবেন। একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এসব বিষয়ের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের সাধারণভাবে ওপেন হতে হবে। তথ্য দিতে হবে বলে মনে করি। সিইসি বলেন, আমাদের সৎভাবে দায়িত্ব পালনের স্পৃহা ও চেষ্টা আছে, থাকবে। ব্যাপক অনিয়মের তথ্য আমাদের কাছে এলে, সাহস নয়, আমাদের দায়িত্ব হবে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার। অনেক বিধান আমাদের অনুকূলে থাকলেও তা প্রয়োগের হার বাড়াতে হবে। নির্বাচনকে হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে যা যা করতে হয়, তা তা করতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করা। অনেক সময় কারচুপি হয়, সেটা রোধ করতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্য ও দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করব। আপনারাও আমাদের সহায়তা করবেন।
বেলা ১১টা ৮ মিনিটে শুরু হওয়া সংলাপে অংশ নেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, এনটিভির বার্তা প্রধান জহিরুল আলম, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, গ্লোবাল টিভির এডিটর সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান, আরটিভির সিইও সৈয়দ আশিক রহমান, একুশে টিভির হেড অব নিউজ রাশেদ চৌধুরী, বাংলাভিশনের হেড অব নিউজ আব্দুল হাই সিদ্দিক, মাইটিভির হেড অব নিউজ শেখ নাজমুল হক সৈকত, সময় টিভির হেড অব নিউজ মুজতবা দানিশ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির চিফ নিউজ এডিটর আশিস সৈকত, মাছরাঙ্গা টিভির হেড অব নিউজ রেজোয়ানুল হক রাজা, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুন, দেশ টিভির চিফ নিউজ এডিটর বোরহানুল হক সম্রাট, নিউজ২৪ এর এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল রাহা, ডিবিসি নিউজের সিইও মঞ্জুরুল ইসলাম, বাংলা ট্রিবিউনের বার্তা প্রধান মাসুদ কামাল, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, স্পাইস টিভির এডিটরিয়াল হেড তুষার আব্দুল্লাহ, জাগোনিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।