পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীতে দুই দল কিশোরের বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে এক স্কুলছাত্র নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার ঈদগাঁ কাঁচা রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. ফাহিম (১৫) হালিশহর থানার বউবাজার দাইয়াপাড়া এলাকার মো. জহিরের ছেলে। একই এলাকার মো. দুলালের ছেলে ইমনকে (১৬) আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফাহিম নগরীর মনসুরাবাদ গণপূর্ত বিদ্যানিকেতনের নবম শ্রেণির ছাত্র। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডবলমুরিং জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) আরিফ হোসেন বলেন, ওইদিন সন্ধ্যার পর ঈদগাঁ কাঁচা রাস্তার মোড়ে দোলন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ১৫-১৬ জন কিশোর জড়ো হয়। কিছুক্ষণ পর তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। টহল পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। রাত ১০টার দিকে আবার কয়েকজন কিশোর কমিউনিটি সেন্টারের অদূরে ভাসমান চা দোকানের সামনে জড়ো হয়। ঘণ্টাখানেক পর ফাহিম, ইমনসহ কয়েকজন সেখানে যায়।
তখন আবার ঝগড়া থেকে একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় ফাহিম ও ইমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফাহিমের বাবা জহির দু’জনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ফাহিমকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত ইমনকে হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
ফাহিমের বাবা জহির খুনিদের ফাঁসি দাবি করে বলেন, কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার ছেলে ও তার বন্ধু ইমনকে অতর্কিতে ছুরিকাঘাত করেছে। কি কারণে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে আমি জানি না। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
কিশোরদের মধ্যে কী নিয়ে বিরোধ ছিল, ঝগড়ার সূত্রপাত কি কারণে হয়েছিল এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকিদের আটকে অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।