Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

যাকাত ইসলামের একটি মূল স্তম্ভ খুৎবা পূর্ব বয়ান

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২২, ৩:৩৮ পিএম

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন: "আর তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা করো ও যাকাত প্রদান করো এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু করো। (সুরা বাকারা, আয়াত-৪৩)। যাকাতের অসাধারণ গুরুত্ব ও মহত্ব রয়েছে। যাকাত ইসলামের একটি মূল স্তম্ভ। আজ জুমার বয়ানে খতিব এসব কথা বলেন। মাহে রমজানের দ্বিতীয় জুমায় নগরীর মসজিদগুলোতে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষীত হয়। মহাখালিস্থ মসজিদে গাউছুল আজমেও জুমার নামাজে প্রচুর মুসল্লির সমাগম ঘটে।

আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন বলেন, মাহে রমজানের দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের। এই দশকে বেশি বেশি নিজের সাথে মুহাসাবা করতে হবে। রমজান পেয়ে কে কতটুকু আমল করতে পেরেছি, কতো বার কালিমা শরিফ, দুরুদ শরিফের আমল করতে পেরেছি, কতোবার ইস্তিগফার করতে পেরেছি, কত খতম কোরআন তেলাওয়াত করতে পেরেছি, আত্মীয়তার হক কতোটুকু আদায় করতে পেরেছি এবং নিজের কৃত কর্মের জন্য তওবা করতে পেরেছি এ বিষয়ে মুহাসাবা করতে হবে। নিজের আমলকে আরো বেশি গতিশীল করতে হবে। নিজের জবানকে হেফাজত করতে হবে। বিশেষ করে কারো গীবত, শেকায়েত, পরনিন্দা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বর্তমানে ঘুষ জাতীয় ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ঘুষ যেমন ইসলামি শরিয়াতে হারাম তেমনি রাষ্ট্রীয় আইনেও শাস্তি যোগ্য অপরাধ। যে নামেই হোক ঘুষ গ্রহণ করা যাবে না। আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে যত কষ্ট হোক ঘুষ দিব না। আমরা যদি ঘুষ না দেই তবে আর ঘুষ নামক ব্যাধির সমস্যা থাকবে না। রমজান মাসে বেশি বেশি দান করতে হবে। কিন্তু দান কারার সময় হালাল মাল দান করতে হবে। হারাম মাল দান করে সওয়াবের আশা করাও জাহিলতা। খতিব বলেন, মাহে রমজানের অন্যান্য আমলের মধ্যে ইতেকাফ বিশেষ ফযিলত পূর্ণ আমল। হযরত আয়শা রা. বলেন, “হযরত রাসূল সা. আজীবন রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করেছেন”। বুখারী। তাছাড়া শবে কদর লাভ করার সবচেয়ে উত্তম উপায়ও শেষ দশকে ইতেকাফ করা। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা শেষ দশকে শবে কদর অন্বেষণ করো।’ অন্য রেওয়াতে আছে, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিগুলোতে শবে কদর তালাশ কর।’ বুখারী: ২০১৭; ২০২০। মুফতি রুহুল আমিন প্রত্যেক ঘরে ঘরে মা বোনদের ইবাদাত ও ইতেকাফ করার আহŸান জানিয়ে বলেন তাতে পরিবারের সকলের মধ্যে বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে ইবাদতের আগ্রহ জাগ্রত হবে। আল্লাহ সবাইকে আমলের তৌফিক দান করেন।আমিন।

ঢাকার শেওড়াপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি সিফাতুল্লাহ রহমানি আজ জুমার বয়ানে বলেন, যাকাতের অন্যতম মৌলিক উদ্দেশ্য হলো অর্থনৈতিক ভারসাম্য সৃষ্টি করা। সুতরাং যাকাত ব্যবস্থা গোটা সমাজকে কৃপণতা, সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা, হিংসা-বিদ্বেষ এবং শোষণ করার কু-প্রবণতা থেকে পবিত্র করে পারস্পরিক ভালোবাসা ত্যাগ, দয়া, নিষ্ঠা, শুভাকাঙ্খা, সহযোগিতা, সাহচর্য ইত্যাদির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। যাকাতের অসাধারণ গুরুত্ব ও মহত্ব রয়েছে। এ কারণে মহাগ্রন্থ আল কোরআনে নামাজের পাশাপাশি যাকাতের কথাও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮২ বার উল্লেখ করা হয়েছে। একজন মুসলমানের ঈমান আনয়নের পর তার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে নামাজ ও যাকাত আদায় করা। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন: "আর তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা করো ও যাকাত প্রদান করো এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু করো। (সুরা বাকারা, আয়াত-৪৩)।
খতিব বলেন, অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন: " আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। বস্তুত আল্লাহ অকৃতজ্ঞ পাপাচারীদের ভালোবাসেন না। (সুরা বাকারা, আয়াত-২৭৬)। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত: "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি তার বৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ থেকে একটি খেজুর পরিমাণও দান করে। আর আল্লাহ তো বৈধ অর্থ ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণই করেন না। সে ব্যক্তির উক্ত দানকে আল্লাহ ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতপর তা ঐ ব্যক্তির জন্য লালন পালন করেন। পরিশেষে তা পাহাড়ের মতো হয়ে যায়। (সহিহ বুখারি, হাদিস ১৪১০)

ঢাকা উত্তরা ৩নং সেক্টর মসজিদ আল মাগফিরাহ এর খতিব মুফতি ওয়াহিদুল আলম আজ খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, যাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । মহান আল্লাহ সূরা তাওবার ৩৫-৩৬ নং আয়াতে বলেন, যে সকল লোক নিজেদের কাছে স্বর্ণ রুপা সঞ্চয় করে রাখে এবং তা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে না অর্থাৎ তা থেকে যাকাত দেয় না, তাদেরকে (হে নবী ) আপনি কঠোর আজাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশ কে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে) এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা রেখেছিলে, এক্ষনে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার। খতিব বলেন, মহান আল্লাহ সুরা বাকারার ২৭৬ নং আয়তে বলেন, আল্লাহ তায়ালা সুদকে ধ্বংস করেন আর যাকাত ও সাদাকাকে বাড়িয়ে দেন। যদি কোন মুসলিম আল্লাহর দেয়া নেসাব (নির্ধারিত পরিমাণ) সম্পদের মালিক হয় তাহলে তার ওপর যাকাত দেয়া ফরজ হবে। যাকাত যোগ্য সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হয়। আল্লাহ সবাইকে সঠিকভাবে যাকাত আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
ঢাকার চকবাজার শাহী মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন আজ জুমার বয়ানে বলেন, মাহে রমজান মাসে আল্লাহর অসন্তুষ্টির কর্মে লিপ্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এজন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, গুনাহে কবিরা ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা ও ধোকা মুক্ত।
অন্যায়,অত্যাচার,পাপাচার, সুদ,ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব, মহান আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। খতিব বলেন, এ বরকতময় মাসে আল্লাহ পাক মুমিনদের গুনাহ ক্ষমা করে দেন, রিজিকে-হায়াতে বরকত দান করেন, নেকির বিনিময় কমপক্ষে ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।

খতিব বলেন, এ মাসে আল্লাহপাক রহমত,বরকত, মাগফিরাত, নাজাত ও জান্নাতের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন ও তালাবদ্ধ করেন জাহান্নামের ফটক। এ মাসে রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকে আম্বরের চেয়েও বেশি প্রিয়। ক্ষুধা-পিপাসা নিয়ে ইফতারের পূর্বের ফরিয়াদ তিনি খুব পছন্দের সাথে গ্রহণ করেন। শেষ রাতে একাকী জায়নামাজে বান্দর অশ্রæসিক্ত আর্তনাদ আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যমে। শারীরিক ক্লান্তি নিয়েও সারা মাস জুড়ে তারাবির ২০ রাকাত নামাজে পবিত্র কোরআনের প্রতি অক্ষরে হাজার হাজার নেকি প্রাপ্তির সুসংবাদ রয়েছে এ মাসেই। বিশেষ করে রমজানের আসল শিক্ষাই হচ্ছে তাকওয়া অর্জন। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সহি বুঝ দান করুন আমিন।

ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, অবারিত কল্যাণের মাস রমজান চলছে। এই মাসে অন্যান্য আমলের ন্যায় অধিক সওয়াবের আশায় আমরা যাকাত আদায় করে থাকি। সম্পদের সঠিক হিসাব করে যাকাত আদায় করা মুমিনের পরিচায়ক। ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যাকাতকে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি এটাকে ইসলামের একটি মূল স্তম্ভ ঘোষণা করা হয়েছে। যাকাত দ্বিতীয় হিজরীতে ফরজ করা হয়। নামাজের পরে যাকাতের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি অর্থ-সম্পদ সঞ্চয় করে, যাকাত না দেয়া পর্যন্ত তার ঐ সম্পদ হালাল হতে পারেনা। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, “হে নবী! আপনি তাদের সম্পদ থেকে যাকাত গ্রহণ করুন, যাতে এর মাধ্যমে আপনি সেগুলোকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ (বরকতময়) করতে পারেন।" (সূরা আত তাওবাহ-১০৩)। এ নির্দেশনা অনুযায়ী নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন প্রকার সম্পদের জন্য বিভিন্ন রকম নেসাব (যাকাত ওয়াজিব হওয়ার সর্বনিম্ন পরিমাণ) নির্ধারণ করে যাকাতের বিভিন্ন হার নির্ধারন করেছেন। সোনা-রূপা ও নগদ টাকা-পয়সার ওপর শতকরা আড়াই ভাগ, কৃষি উৎপাদনের উপর সেচ ব্যবস্থার আওতাধীন জমি হলে শতকরা ২০ ভাগ ও সেচ ব্যবস্থার আওতা বহির্ভূত জমি হলে শতকরা ১০ ভাগ, ব্যবসায়িক পণ্যের ওপর শতকরা আড়াই ভাগ যাকাত ধার্য করেছেন। এমনি ভাবে ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে থাকা গবাদি পশু প্রভৃতি চতুষ্পদ প্রাণীর ওপর বিভিন্ন হারে যাকাত ধার্য করেছেন। যাকাত প্রদান করুণার বিষয় নয়, বরং এটা হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক। যাকাত প্রদানের অর্থই হচ্ছে পাওনাদারের কাছে তার হক পৌঁছে দেয়া। কারণ, ধনীদের সম্পদে গরীবের হক আছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, "আর তাদের (ধনীদের) সম্পদে অবশ্যই প্রার্থী (দরিদ্র) এবং বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।" (সূরা আয যারিআত- ১৯)। খতিব আরও বলেন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে যারা যাকাত আদায় করবে না তাদের পরিণাম সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। ইরশাদ হয়েছে, "যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য (ধন-সম্পদ) সঞ্চয় করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না (যাকাত দেয় না), তাদেরকে এক কঠিন পীড়াদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও। সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে। এরপর তা দ্বারা তাদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে। (তাদেরকে সম্বোধন করে) বলা হবে, ইহাই ওই সম্পদ, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছিলে। সুতরাং তোমাদের সঞ্চয়ের স্বাদ আস্বাদন কর।" (সূরা আত তাওবাহ ৩৫)। অগণিত হাদীসে বিশ্বনবী সা. যাকাত আদায় না করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন: যে ব্যক্তি তার সম্পদের যাকাত আদায় করবে না, তার সম্পদ কিয়ামতের দিন বিষধর সর্পের রূপ ধারণ করবে। সেটাকে তার গলায় পেচিয়ে দেয়া হবে। সে তার দুই পার্শ্বে দংশন করে বলবে, আমিই তোমার গচ্ছিত সম্পদ, আমিই তোমার সঞ্চিত ধনভান্ডার। (সুনান ইবনে মাজাহ)। যাকাত আর্থিক ইবাদত। তাই যাকাত প্রদান করতে গিয়ে আত্মপ্রচারণা শরীয়তসম্মত নয়। এটা তাকওয়ার পরিপন্থী। ব্যানার ঝুলিয়ে, সাইনবোর্ড লাগিয়ে, মাইকিং করে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যাকাত প্রদান করা কিংবা স্বল্পমূল্যের শাড়ি ও লুঙ্গি দ্বারা যাকাত দেয়া নিচু মানসিকতার পরিচায়ক। এটা সওয়াবকে নষ্ট করে দেয়। ইসলাম যাকাতসহ অন্যান্য দান-সাদকা গোপনে আদায়ের প্রতি উৎসাহ দিয়েছে। হযরত আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সা. বলেছেন, হাশরের ময়দানে আল্লাহ তায়ালা সাত ব্যক্তিকে তার (আরশের) সুশীতল ছায়াতলে স্থান দেবেন, যেদিন তার ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়াই থাকবে না। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে অত্যন্ত গোপনভাবে দান-খয়রাত করে, এমনকি তার ডান হাতে যা কিছু দান করে তার বাম হাতও তা জানতে পারে না। (বুখারী, মুসলিম)। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন। আমিন।

ঢাকার কামরাঙ্গীরচর রহমতিয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন আজ জুমার বয়ানে বলেছেন, ধনী-গরিব সবাই আল্লাহর বান্দা। ইসলাম সব শ্রেণি পেশার মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছে। সম্পদশালীদের মালের মধ্যে দরিদ্র-অসহায়দের হক বা অধিকারের কথা কোরআনে উল্লেখ রয়েছে। এজন্যই মহান আল্লাহ যাকাতের বিধান ফরজ করেছেন। সমাজের বিত্তবানরা যাকাতের বিধান মেনে চললেই এতিম-গরিব ও অসহায়দের অধিকার নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, ইসলামী বিধান মতে ধনীরা গরিবের প্রাপ্য অধিকার যাকাত প্রদান না করায় এতিম ও অসহায়রা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সঠিকভাবে যাকাত আদায় হলে দরিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। বাংলাদেশে যে পরিমান সম্পদশালী রয়েছে তারা সঠিকভাবে যাকাত আদায় করলে মাত্র ৪ থেকে ৫ বছরে এদেশে দারিদ্রতা শূন্যে কোটায় পৌছে যাবে। তিনি আরো বলেন, সম্পদশালীরা দিন দিন সম্পদের পাহাড় গড়বে আর গরিব-অসহায়রা চরম ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের নিষ্ঠুর কষাঘাতে দিন কাটাবে তা ইসলাম সমর্থন করে না। আল্লাহ সবাইকে যথাযথভাবে যাকাত আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ