Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তা কেন খনন হচ্ছে না, প্রশ্ন মেননের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২২, ৪:১০ পিএম

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে নদী দখল করে রাস্তাঘাট, দোকানপাট নির্মাণ করা হচ্ছে। টিপাইমুখ, তিস্তার বাঁধ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এসবের কিছুই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর করছি। কিন্তু তিস্তা কেন খনন হচ্ছে না? আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয় কৃষক সমিতি ও বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের আয়োজিত ‘কৃষকের পানির অধিকার নিশ্চিত করার দাবি’তে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির অভাবে দুই আদিবাসী কৃষক অভিনাথ ও রবি মার্ডির মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাশেদ খান মেনন বলেন, দুই কৃষকের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে কৃষকদের পানি সংকটের বিষয়টি সবার সামনে এসেছে। এসব বিষয়ে এখন কথা বলার লোকও কমে গেছে। আমরা আমাদের যাবতীয় উন্নয়নের হিসাব করছি জিডিপি, মাথাপিছু আয় দিয়ে। শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় আমাদের চেয়ে বেশি কিন্তু তারা এখন ধুঁকছে। তাদের সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। খাদ্য সংকট ও বৈদেশিক নির্ভরতা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও খাদ্য উৎপাদনের জন্য যে পানি প্রয়োজন এ বিষয়ে আমরা উদাসীন। বরেন্দ্র অঞ্চলে আদিবাসীরাই একসময় বিশাল বিশাল পুকুর খনন করেছিল। এখন সেখানে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিবছর ১ ফুট করে নিচে নেমে যাচ্ছে। সমস্ত পুকুর শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নদী ব্যবস্থাপনা ও ভূ-উপরস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি না পেয়ে আত্মহননকারী দুই কৃষক অভিনাথ ও রবি মার্ডির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ১২ দিন অনুরোধ করেও সেচের পানি পায়নি তারা। কৃষকের পানির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এটা একটা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।

এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হক বলেন, একটি গোষ্ঠী এখন পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। পানির অধিকার সবার আগে কৃষকের। করোনায় এই কৃষকরা আমাদের বাঁচিয়েছে। ১৭ কোটি মানুষের যারা খাদ্য যোগান দেয় তাদের সম্মান জানাতে হবে, তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে ভারতের কৃষকদের মতো রাস্তায় নামতে হবে। জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় মূল বক্তব্য উপস্থিত বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হরেন্দ্রনাথ শীল ফোরামের সভাপতি সঞ্জীব দ্রং।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ