পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা জোরদারের ওপর মনোনিবেশের বিষয়ে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, উৎকর্ষতা এবং এর বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার সমস্যাও বাড়বে। বৃহস্পতিবার গণভবনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর তৃতীয় সভায় দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের এখন নিরাপত্তার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আসলে, প্রযুক্তি যেমন আমাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে, এটি সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে। এই দিক থেকে, আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ব্যাংকে জমা হওয়া টাকা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই আমাদের এটি এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে হবে (সতর্ক থাকতে হবে)। প্রযুক্তির অগ্রগতি দিন দিন বাড়তে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন নতুন নতুন চিন্তা আসবে। গবেষণা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষ প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে, এজন্য গবেষণার ওপর আমাদের আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের গবেষণা সবসময় দরকার। তাই গবেষণার কাজ অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে আমরাও যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। বাংলাদেশ যেন সবার কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। সেটাই আমি চাই।
তিনি বলেন, আমরা অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব কেন? আমাদের দেশের মানুষের মেধা আছে। সেটা বিকাশের সুযোগ করে দিলে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারব। যুব সমাজকে দক্ষ করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের যুব সমাজকে তৈরি করতে হবে। কারণ আমরা যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি, তা শুধু চিন্তা করা না। বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের তরুণ সমাজকে আরও বেশি উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া, উপযুক্ত ট্রেনিং দেওয়া বা তাদের সেভাবে গড়ে তোলা বা তাদের মন মানসিকতাকে সেভাবে গড়ে তোলা, সেটাই আমাদের করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা আমাদের তরুণ সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেশি। যে কারণে আমরা যদি তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারি, শুধু এই প্রজন্মকে না, সামনের প্রজন্মকেও আমরা কীভাবে গড়তে পারি, তার প্রতি গুরুত্ব দিই, তাহলে বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট এ যেতে পারবে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শিক্ষা দীক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য, অর্থনীতি সব দিক থেকেই আমরা এগোতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি। ‘মেধা পাচার’ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আরেকটি বিষয় অনেকে বলেন যে আমাদের মেধা চলে যাচ্ছে, এটা নিয়ে আমি খুব বেশি চিন্তা করি না। কারণ এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে যেমন অনেকে বাইরে যান, টাকা পয়সা কামাই করেন, তেমন অনেকেই কিন্তু, দেশে ফিরে আসছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অনেকেই, বিশেষ করে যারা নিউ জেনারেশন, তারা কিন্তু চলে আসছে। এসে কাজ করছেন। কারণ আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ফলেই কিন্তু কাজগুলো সহজ হয়ে গেছে যে কারণে তারা এখন দেখে যে বাংলাদেশে বসেও তারা নিজেদের কাজগুলো ভালোভাবে করতে পারছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কিন্তু এখন একটা আকর্ষণীয় স্থান, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আমাদের গৎ বাঁধা পুরোনো কথা আর বলার দরকার নেই- যে ‘ব্রেন ড্রেন’ হচ্ছে। আমাদের তো লোকের অভাব নেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা নেবে এবং আসবে। বরং বাইরের থেকে বাংলাদেশের অবস্থা এখন অনেক দিক থেকে ভালো। অনেক ভালো অবস্থায় এখন আমরা আছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।