Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এনামুল বাছিরের আপিল

ডিআইজি মিজানের আবেদন গৃহিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

নিম্ন আদালতের দেয়া কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে তিনি এ আপিল ফাইল করেন। এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান। ঘুষ লেনদেনের মামলায় বিচারিক আদালত তাকে ৮ বছর কারাদণ্ড দেয়।

এছাড়া একই মামলায় দণ্ডিত পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমানও খালাস চেয়ে আপিল করেছেন। আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণও করেছেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘ঘুষ লেনদেন’র অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৮ বছর ও ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও এনামুল বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় ৩ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এনামুল বাছিরকে। ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই একই সংস্থার পরিচালক শেখ মো: ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা।
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন। প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদকের তৎকালিন সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে ৩ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো: ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেফতার করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ