পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন আইন প্রণেতা সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চুক শুমার ও রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য স্টিভ চ্যাবোটের সঙ্গে তার কথোপকথনের একদিন পর গত রাতে তিনি ব্রিফিংকালে গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের সমুদ্র অর্থনীতিতে যোগ দিন, সেখানে (বঙ্গোপসাগর) কার্যক্রম করুন। . . এবং পরে আপনারা সেখান (বঙ্গোপসাগর) থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।”
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, উন্মুক্ত, সংযুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও সহনশীল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে উষ্ণ মনোভাব প্রত্যক্ষ করেছি।
মোমেন আরো বলেন, তার সফরের ফলাফলে তিনি খুবই খুশী। তিনি এ সফরকে ফলপ্রসূ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ ও ইতিবাচক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছেন।
মন্ত্রী এর আগে গত ৪ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এর আগে বলেছিলেন যে, আমেরিকা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারের সাথে কাজ করতে চায় যাতে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এই অঞ্চলের সাগর ও আকাশ পরিচালনা ও ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন।
মার্কিন আইন প্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দন্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান, যে এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং নবগঠিত নির্বাচন কমিশন সম্পর্কেও অবহিত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে আরও বেশি মার্কিন বিনিয়োগের আহ্বান জানান যাতে যুক্তরাষ্ট্র আরও সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করতে পারে।
ড. মোমেন বলেন, “আমি তাদের (আইন প্রণেতাদের) বলেছি, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আরও সম্পৃক্ত হওয়ার এখন সময় এসেছে।”
সূত্র: বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।