Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭ খালের রক্ষণাবেক্ষণে শত কোটি টাকা চান চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

নগরীতে চলমান ছয় হাজার কোটি টাকার পানিবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের আওতায় সাতটি খালের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। এসব খালের দায়িত্ব প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএ সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম তাতে রাজি না। তিনি বলছেন, এ সাতটি খালের রক্ষণাবেক্ষণের কোন বাজেট তার নেই। পানিবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্প থেকে একশ কোটি টাকা দিলেই কেবল তিনি এ দায়িত্ব নিতে পারেন। সিডিএর সাথে সিটি কর্পোরেশনের এই মেগা প্রকল্প সমন্বয় সভায় গতকাল বুধবার মেয়র এ শর্ত দেন।

নগর ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, পানিবদ্ধতা নিরসনের মূল কাজের কিছু সিডিএ ও কিছু করেছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ৩৪ বিগ্রেড। এই প্রকল্পের অধীনে নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে বেশ কিছু ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ড্রেনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষনাবেক্ষণে কর্পোরেশনের কোন বরাদ্দ নেই। বর্তমানে কর্পোরেশনের ফান্ডের অবস্থাও ভালো না। এই পরিস্থিতিতে নালা-খাল সংরক্ষণের দায়িত্ব কর্পোরেশনের পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়। কারণ কর্পোরেশনে ফান্ড ও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব রয়েছে।
সিডিএ চেয়াম্যান এম জহিরুল আলম বলেন, এবারের পানিবদ্ধতা অন্যান্যবারের মতো হবে না। প্রকল্পের চলমান চার বছরের কাজের মধ্যে এখনো দুই বছরের কাজ বাকি। এখনই শতভাগ ফলাফল পাবো এটা মনে হয় না। তিনি নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংও প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, বর্ষার আগে চলতি এপ্রিল মাস পর্যন্ত আমরা কাজ করতে পারবো। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খালগুলোতে ১৭৬ কিলোমিটারের মতো রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ সম্পন্ন করেছি। পানিবদ্ধতা নিরসন কাজে এটা বড় অগ্রগতি বলা যায়। পাশাপাশি অনেক এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানও চালাতে হচ্ছে। পুরো প্রকল্পের কাজ সমানতালে করা সময় সাপেক্ষ। কারণ এখানে বহু প্রতিবন্ধকতা আছে। যে সাতটি খালের উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে তা বুঝে নিতে ইতিমধ্যে সিডিএকে পত্রদিয়ে অবহিত করেছি। তিনি বলেন, প্রকল্পে আমাদের কাজ হলো অবকাঠামোগত কাজ শেষে বুঝিয়ে দেয়া। রক্ষনারবক্ষণ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো করবে। প্রকল্প পরিচালক জুনের মধ্যে ১৮টি খালের রিটেইনিং ওয়ালের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ