পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশে উদ্যোগমূলক কাজের পথে বড় বাধা হচ্ছে তরুণ সমাজের জন্য আর্থিক এবং কারিগরি সহযোগিতার অপ্রতুলতা। দেশে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠানে কাজের দীর্ঘসূত্রিতা, নীতিগত জটিলতা, সুষ্ঠু উদ্যোগমূলক কাজের পরিবেশ ইত্যাদি বাধাগুলো তরুণদের চলার গতিকে বিনষ্ট করে। আর তাই দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তরুণ উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য মসৃণ পথ বিনির্মাণের আহবান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ‘ব্র্যাক সেন্টার ইন’ এর সম্মেলন কক্ষে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা, মানব মুক্তি সংস্থা, পিপল’স ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টশন, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন স্যোসাইটি এবং সুশীলন এর উদ্যোগে ‘ঢাকা সংলাপ: উদ্যোক্তা হিসাবে তরুণ সমাজ - সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক নাগরিক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বেঙ্গল ডেল্টা অঞ্চলে তরুণ সমাজের উদ্যোগমূলক কাজের সম্ভাবনা এবং আগামীর পথের রূপরেখা উন্মোচন করতে একটি গবেষণার অংশ হিসাবে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়। সংলাপটিতে উদ্বোধনী অধিবেশনের পরে তিনটি এক্সপার্ট সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিপিআরডি’র প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ল্যাঙ্ক্যাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ড. মনোজ রায়। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইয়ুব খান, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সহকারী পরিচালক লাখসানা লাকী, যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শওকত আলী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিবিআই বিশেষজ্ঞ তুষার কণা খন্দকারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সংগঠনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।
সূচনা বক্তব্যে মো. শামসুদ্দোহা বলেন, তরুণ সমাজের বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনেক কিছু করার আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা করতে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সময়ের পরিবেশ পরিস্থিতিতে আমাদের চেনা-জানা কাজের বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করেই উদ্যোগমূলক কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। উদ্যোগমূলক কাজের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিস্থতিকে বিবেচনায় নেয়ার প্রতি তিনি তাগিদ দেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কাজের প্রতি এক ধরনের অনীহা কাজ করে, বিশেষ করে আমরা কাজগুলোকে শ্রেণীবিভক্ত করে ফেলি যেটি কোন ভাবেই উচিত নয়; আমাদের কাজকে কাজ হিসাবেই মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিবর্গের প্রতি তরুণ সমাজের সামনে থেকে সকল প্রকার বাধা অপসারণ করার আহ্বান জানান।
ড. মনোজ রায় তার বক্তব্যের শুরুতে গবেষণা কার্যক্রমটির ব্যাপ্তি, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশের উদ্যোগমূলক কাজের সুযোগ এবং সম্ভাবনা দুটিই বৃদ্ধিপাচ্ছে। আমাদের গবেষণা এবং পর্যালোচনা থেকে দেখতে পাচ্ছি আমাদের দেশে উদ্যোগমূলক কাজের অগ্রগতি রোধ করছে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক অসহযোগিতা, অবকাঠামোগত দূর্বলতা, আর্থিক এবং কারিগরি সহযোগিতার অভাব, দুর্নীতি, মানসিক বাধার মতো কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা। ভবিষ্যত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে উদ্যোগমূলক কাজের বিকল্প নেই। সমসাময়িক বাস্তবতা এবং পরিস্থিতির আলোকে দেখা যাচ্ছে আমদের দেশে তরুণ সমাজের মাঝে উদ্যোগমূলক কাজের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তুষার কণা খন্দকার বলেন, আমাদের দেশে উদ্যোগমূলক কাজের অনেক সম্ভাবনা আছে কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো হচ্ছেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।