Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিমানবন্দরে লাগেজ ভোগান্তি

শাহজালালে নেমেই বিড়ম্বনায় প্রবাসীরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতার অভাবে দেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট হচ্ছে : অভিযোগ যাত্রীদের লাগেজ হারিয়ে যাওয়া ও বিড়ম্বনার কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে নে

খলিলুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

দেশের অর্থনীতির চাকা যাদের পাঠানো অর্থে সচল থাকে, সেই প্রবাসী শ্রমিকদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানি করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে দেশে ফিরেও প্রবাসী শ্রমিক ও প্রবাসীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। সিঙ্গাপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। কিন্তু বিমান থেকে বেল্টে লাগেজ আসতে সময় লাগছে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। শুধু তাই নয়, অনেক সময় লাগেজগুলো বেল্ট থেকে এলোমেলোভাবে নিচে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেল্টের কর্মীদেরও আচরণ ভালো নয় বলে অভিযোগ অনেকের। শুধু বিদেশফেরত যাত্রীই নন, বিদেশ গমনের ক্ষেত্রেও যাত্রীরা নাস্তানাবুদ হচ্ছেন বিভিন্ন টেবিলে। দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। একই সাথে রয়েছে মশার উপদ্রবও। সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড থেকে দেশে আসেন আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি। থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর থেকে দুই ঘণ্টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। কিন্তু বিমান থেকে নেমে ইমিগ্রেশন শেষ করে লাগেজের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন ঘণ্টা। এ সময় তিনি ইনকিলাবকে বলেন, ব্যবসায়ীক কাজে থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম। কাজ শেষে দেশে ফিরেছি। প্লেন থেকে নেমেছি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। কিন্তু কাস্টমস হয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে সময় লেগেছে চার ঘণ্টা। বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের কথা কী বলব? বাঙালি আসলে খুব খারাপ। এই দেশের কেউ পদ পেলে মানুষকে আর মানুষ মনে করে না।

শুধু আব্দুর রহিম নয়, শাহজালাল বিমান বন্দরে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী এভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছেন কর্তৃপক্ষ। বিদেশের বিমানবন্দরগুলোর সেবার মান ও বাংলাদেশের বিমানবন্দরে সেবার মান দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেমিটেন্স যোদ্ধারা। এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে আসা যাত্রীরাও বিরক্ত প্রকাশ করছেন।

জাবেদ আহমেদ নামের এক সউদী প্রবাসী ইনকিলাবকে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে বিমান ঢাকায় ল্যান্ড করে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে লাগেজ পেতে। তার অভিযোগ, বেল্ট থেকে সবার মালামাল অগোছালোভাবে নিচে ফেলা হয়। লাগেজ খুঁজে বের করতে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে।
মওদুদ আহমেদ নামের আরেক প্রবাসী যাত্রী ইনকিলাবকে বলেন, লাগেজ খুঁজে পেতে অনেক সময় লেগেছে। যাত্রীদের ভুল থাকতে পারে। অনেকেই বিমানবন্দরের নিয়ম-কানুন জানেন না। কিন্তু এসব বিষয়ে তো সহায়তা পাওয়ার কথা। তার অভিযোগ, বেল্টে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের আন্তরিকতার অনেক অভাব রয়েছে। তাদের কাছে কিছু জানতে চাইলে ধমকের স্বরে কথা বলেন।

মাসুক মিয়া নামের এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইনকিলাবকে বলেন, দুই বছর আগে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। তখন শাহজালাল বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছি আমরা। এবার ফের দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম আমি। কিন্তু আমার স্ত্রী ও সন্তানরা দেশে যেতে মানা করে। শুধু বিমানবন্দরে হয়রানির কারণেই দেশে যেতে ভয় লাগছে বলেও জানান তিনি।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে লাগেজের জন্য প্রতিদিনই চিৎকার-চেঁচাঁমেচি করেন যাত্রীরা। এছাড়া ময়লা পড়ে থাকা, যাত্রী হয়রানি, লাগেজ হারানো নিত্যকার চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে কিছু কর্মকর্তার নির্দয় আচরণে সর্বস্তরের যাত্রীরা দিশেহারা।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ইমিগ্রেশন পুলিশের হয়রানির শিকার হয়ে বহির্গামী যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠছে। বিদেশ থেকে আগতদের হয়রানি করার যেন মাত্রা থাকে না। যত বেশি হয়রানি তত বেশি টাকা, এটা এখন বিমানবন্দর এলাকার পরিচিত সেøাগান। যাত্রীদের লাগেজ সংগ্রহের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় সংঘবদ্ধ চক্রটি লাগেজ গায়েব করে ফেলে। কোনো কোনো লাগেজ কেটে ভেতরের মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়। বিমান থেকে লাগেজ বেল্টে দেয়ার আগ মুহূর্তে তা কেটে মূল্যবান মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়। অনেক সময় যাত্রীদের লাগেজ আসেনি বলে জানানো হয়। বলা হয়, পরবর্তী ফ্লাইটে আসবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরবর্তী ফ্লাইটে লাগেজ এলেও লাগেজ প্রকৃত মালিকের কাছে পৌঁছানো হয় না। লাগেজে দামি মালামাল থাকলে তো কথাই নেই। বলা হয়, আপনার লাগেজে অবৈধ মাল এসেছে। গোয়েন্দারা লাগেজের মালিককে খুঁজছেন। এমন পরিস্থিতিতে অজানা আতঙ্কে অনেক যাত্রীই লাগেজের আশা ছেড়ে দেন। যাত্রীর মালামাল স্ক্যানিংয়ের নামে গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করতে অযথাই দেরি করানো হয়।

এদিকে, গত কয়েকদিন বিমানবন্দরে সরেজমিনে পরিদর্শন করে যাত্রীদের দুর্ভোগ ও লাগেজ বিড়ম্বনার ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। বিমানবন্দরে ভুক্তভোগী যাত্রীরা নানা সমস্যা ও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। গত ২৮ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, নজিরবিহীন ‘লাগেজ জটে’ ভুগতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও লাগেজ পাচ্ছেন না অনেকে। আবার ঠিক কখন কনভেয়ার বেল্টে লাগেজ ছাড়া হবে, সে কথা জানার মতোও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে অনেকেই লাগেজ অনুসন্ধান ও অভিযোগ কেন্দ্রে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। তবে লাগেজ অনুসন্ধান ও অভিযোগ কেন্দ্রের সামনে বেশ কয়েকটি লাগেজ এলোমেলো করে রাখা আছে। কয়েকজন যাত্রীও সেখানে গিয়ে তাদের লাগেজ খুঁজতে দেখা গেছে। আবার অনেক লাগেজ দীর্ঘদিন থেকে সেখানে পড়ে আছে বলেও জানিয়েছেন বিমানবন্দর সূত্র।

ভুক্তভোগী এক যাত্রী বলেন, ফ্লাইট অবতরণের পর ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করতে সময় লেগেছে ৩৫ মিনিট। তারপর আরো ঘণ্টাখানেক বসে থেকেও লাগেজের দেখা পাইনি। ঠিক কখন লাগেজ আসবে সে কথা জানার জন্যও কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছেন লাগেজ এলেই ছাড়া হবে। যাত্রীরা বলেন, এই সময়ে কার্যক্রম সারতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অবস্থা একেবারে হযবরল। অথচ এমন অনেক এয়ারপোর্ট রয়েছে, যেখানে প্রতি মিনিটে একটি করে ফ্লাইট ওঠানামা করে।

যাত্রীরা অভিযোগ করেন, অনেক আগ থেকেই এমন বিড়ম্বনা থাকলেও দিনে দিনে অসহনীয় মাত্রা নিচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ ব্যবস্থাপনা। এসব নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠলে কিছুতেই সুরাহা হচ্ছে না। যেন দেখার কেউ নেই।

এদিকে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মীদের বিরুদ্ধে যাত্রীরা অভিযোগের অন্ত নেই। বিশেষ করে তাদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন-সমালোচনা ক্রমেই বাড়ছে। যাত্রীরা বলেছেন, তাদের ব্যবহার দেখলে মনে হয়, তারা যেন করুণা করছেন আমাদের। লাগেজগুলো যেভাবে ছুড়ে ফেলা হয়। খুব খারাপ লাগে। এই এয়ারপোর্ট দিয়ে দু’বার যাতায়াত করলে উন্নত মানের পোক্ত ব্যাগও নষ্ট হয়ে যায়। এমন ‘আন্তর্জাতিক’ মানের এয়ারপোর্টে কেন আসবেন বিদেশিরা? এভাবে ক্ষোভও ঝাড়েন যাত্রীরা।

জানা গেছে, যাত্রীরা বিদেশ গমনের সময় বহিরাগমন লাউঞ্জের প্রবেশমুখে নিজ নিজ মালামাল ট্রলিতে করে ভেতরে নিয়ে যাওয়ার সময় পোর্টার ও ট্রলিম্যানের হয়রানির শিকার হন। এর পর যাত্রীরা মালামাল বেল্টে দেয়া ও এয়ারলাইন্স কাউন্টারে বোর্ডিং পাস সংগ্রহের জন্য লাইনে দাঁড়ান। এ সময় এয়ারলাইন্স কাউন্টারে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাসপোর্ট, টিকিট ইত্যাদি যাচাই-বাছাই করার নামে হয়রানি ও দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করে থাকেন। যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল থাকলে শুরু হয় আরেক ধরনের হয়রানি।

কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোর চিত্র ঠিক উল্টো। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, একের পর এক বিমান অবতরণ করছে। কিন্তু বিমানবন্দরে হয়রানি ছাড়াই অল্প সময়েই মধ্যেই যাত্রীরা ইমিগ্রেশন শেষ করছেন। ইমিগ্রেশ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ব্লেটে গিয়ে লাগেজ নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দুবাই তথা আমিরাতে অধিকহারে আন্তর্জাতিক যাত্রীর আসা যাওয়ার কারণে দুবাই বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দরে পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমিরাত নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ৫ বছর যাবৎ এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর হিসেবে রেকর্ড ধরে রেখেছে। এর মাধ্যমে এভিয়েশন সেক্টরে দেশটির অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে অবদান বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বিমানবন্দরে যাত্রীদের বাড়তি সেবা প্রদান করা হয়।
একই অবস্থা দেখা গেছে থাইল্যান্ডের রাজধানীর ব্যাংককে অবস্থিত সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। তারাও অল্প সময়ের মধ্যে যাত্রীদের সেবা প্রদান করে থাকে। গত ২৪ মার্চ বিকালে ওই বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওই বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করছেন। বিমান অবতরণের পর যাত্রীরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করছেন। বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য সারি সারি চেয়ার রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরে প্রবেশের পরই যাত্রীরা ওই চেয়ারে বসে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে ৪ থেকে ৫ জন কর্মকর্তা এসে করোনা টেস্ট ও যাবতীয় কাগজপত্র চেক করে নিচ্ছেন। এরপর থাই পাস চেক করে ইমিগ্রেশনের জন্য যেতে বলা হয়। ইমিগ্রেশন শেষ করেই বেল্ট থেকে যাত্রীরা নিজেদের লাগেজ নিয়ে গন্তব্যে যাত্রা করছেন।

নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কিন্তু ওই বিমানবন্দরেও বাংলাদেশ বিমানবন্দরের চেয়ে সেবার মান অনেক ভালো। তাই প্রত্যেক বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজারো মানুষ নেপাল ভ্রমণ করে। সম্প্রতি নেপাল বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, বিমান থেকে নামার পর যাত্রীরা ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করছেন। ইমিগ্রেশন শেষেই বেল্টে গিয়ে নিজেদের লাগেজ নিয়ে গন্তব্যে যাত্রা করছেন। কোথাও কোনো হয়রানির শিকার হতে হয়নি যাত্রীদের।

বেল্ট থেকে লাগেজ ফেলে দেয়া ও লাগেজ বিড়ম্বনার বিষয়ে জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, আগে এক সময় লাগেজ বিড়ম্বনা হতো। কিন্তু এখন আর হয় না। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই লাগেজগুলো বেল্টে দেয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যেতে পারেন। এখন আর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করা লাগে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লাগেজ হারিয়ে গেলে তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বের করা হয়। পরে হোম ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছে লাগেজ পৌঁছে দেয়া হয়। তবে লাগেজ হারিয়ে যাওয়া ও বিড়ম্বনার কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে নাই।

এদিকে, সরকারের শুদ্ধাচার চর্চার অংশ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল দুপুরে বিমানবন্দরের বহির্গমন কনকোর্স মিলনায়তনে গণশুনানির আয়োজন করে। এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে নিয়েই অভিযোগ জানিয়েছেন বেশিরভাগ যাত্রী। গণশুনানিতে অংশ বিভিন্ন এয়ারলাইন ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নিলেও বিমান বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি হাজির না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। যাত্রী হয়রানি বন্ধে বিমান বাংলাদেশকে আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। যাত্রীসেবার মান উন্নত করতে গণশুনানিতে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বেবিচক। গণশুনানিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস নিয়ে যাত্রীরা বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে রয়েছেÑ বিমানের ফ্লাইট শিডিউল ঠিক না থাকা, যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ফ্লাইট পরিবর্তনের তথ্য যাত্রীদের না জানানো ইত্যাদি

গণশুনানিতে আরো ছিলেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদায়ী নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান, নবনিযুক্ত নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কমান্ডিং অফিসার মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম খান, এওসি চেয়ারম্যান দিলারা আহমেদ।



 

Show all comments
  • সবুজ ৬ এপ্রিল, ২০২২, ২:৫৫ এএম says : 0
    নিয়মিত অভিযোগ আশা পরেও এদের বিরুদ্ধে কেন কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না?
    Total Reply(0) Reply
  • Faisal Ahmed ৬ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৫৬ এএম says : 0
    কিছু নামধারী শিক্ষিত লোকের কারনেই আজ এই অবস্থা।আসলে এদের.. ই ঠিক নাই।এদের কে ছাটাই করা হোক!!!!!!!!!!!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Kutub Uddin ৬ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৫৬ এএম says : 0
    Eta notun kisu na..
    Total Reply(0) Reply
  • MX Alok Mohamad ৬ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৫৭ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুন্দর কথা বলছেন ভাই আমি নিজে আসা যাওয়া করি এই সমস্যা আমার ও অনেক কষ্ট হয়েছে মাথায় নিয়ে বাহির হইছি
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed saleh Bablu ৭ এপ্রিল, ২০২২, ৯:৫০ এএম says : 0
    আমরা যে একটা অসভ্য জাতি সেটা বিমান বন্দরে এলেই বুঝতে পারা যায়। আমরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা , আমাদের টাকায় দেশের ভরসা, আর আমাদের প্রবাসীদের প্রতি নিয়ত বিমান বন্দরে হয়রানির শিকার হতে হয়, এর থেকে দুঃখজনক আর কি হতে পারে। আমরা এই রকম হয়রানির থেকে মুক্তি চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিমানবন্দর

১৩ জানুয়ারি, ২০২৩
২৪ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ