পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে জানে না, যা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। সোমবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের (বিলিয়া) গবেষণায় দেখা গেছে, জাতীয় চার নেতার নাম জানে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
মুক্তিযুদ্ধে কতজন শহীদ ও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে তারা জানে না। এমনকি মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে বলেও ধারণা তাদের। এ গবেষণার বরাত দিয়ে চুন্নু বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতীয় চার নেতার নাম জানে না, কোনো শিক্ষার্থী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধারও নাম বলতে পারেনি, তারা স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারের মধ্যে পার্থক্য বোঝে না, ৩ নভেম্বর নিয়ে শতভাগ শিক্ষার্থীর ধারণা ভুল, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে তারা তা জানে না, স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পর্কে কিছুই বলতে পারে না।
জরিপের ফল সবাইকে আতঙ্কিত করেছে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি। দেশ স্বাধীন করেছি। এতো কিছু করলাম, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ সম্পর্কে জানে না, কেন জানবে না, আমাদের গলদটা কোথায়? আমাদের ভুলটা কোথায়? আমার মনে হয়, বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে কোনো আলোচনা ও শিক্ষা দেওয়া হয় না। এ সময় তিনি অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাধ্যতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, এটা তাদের (শিক্ষার্থী) শেখাতে হবে। যদি না শেখায়, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানবেও না। তারা বুঝবেও না কীভাবে আমরা দেশটা স্বাধীন করেছিলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।