পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের তিনটি সিটি করপোরেশন ও একটি পৌরসভার উন্নয়নে প্রায় তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভার্নেন্স (ইউডিসিজি)’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ থেকে প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ প্রকল্পের ডিপিপি যাচাই-বাছাই করে একনেকের জন্য চূড়ান্ত করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে তিন হাজার ৩৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে আসবে এক হাজার ১৮২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। জাইকা থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে দুই হাজার ২১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পটি নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং কক্সবাজার পৌরসভায় বাস্তবায়ন করা হবে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নগর প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নগর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, পাঁচটি ব্রিজ, দুটি ওভারপাস, একটি ফ্লাইওভার, ৩২টি বক্স কালভার্ট, ৪৩টি পাইপ কালভার্ট ও পাঁচ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ। এছাড়াও রয়েছে, ৩৭ দশমিক ৬০ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা (ড্রেন) নির্মাণ, সাতটি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট (ল্যান্ড ফিলিংসহ) নির্মাণ, নয়টি গভীর নলকূপ ও পানি বিতরণ ব্যবস্থা স্থাপন, ১৩০ কিলোমিটার স্ট্রিট লাইট স্থাপন, দুই দশমিক ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, পাঁচ হাজার বর্গমিটার প্লে-গ্রাউন্ড নির্মাণ (পাবলিক স্পেসসহ), তিনটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ (৬৬ হাজার ১৬১ বর্গমিটার) ও ছয় হাজার ১৭০ বর্গমিটার অফিস ভবন নির্মাণ।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশিদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্পভুক্ত সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নগর প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নগর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা সম্ভব হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নগর ও পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। যার সঙ্গে প্রকল্পটি সংগতিপূর্ণ। সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।