পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনগণ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সর্তক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল ১২১, ১২২, ১২৩তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। শাহবাগ বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের জনগণ যেন কখনো সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। কারণ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই আমাদের এই স্বাধীনতা। বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা। কাজেই স্বাধীনতার সুফল যেন বাংলদেশের প্রত্যেকটা মানুষের ঘরে পৌঁছায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সরকার প্রধান বলেন, যখন যেখানে দায়িত্বপালন করবেন অবশ্যই মানুষের কথা চিন্তা করবেন। যে যে এলাকায় কাজ করবেন সে এলাকা সম্পর্কে জানতে হবে। সেখানকার মানুষের আচার-আচরণ, জীবন-জীবিকা সম্পর্কে জানতে হবে। কিভাবে তাদের উন্নতি করা যায়- সে বিষয়েও ভাবার সুযোগ আপনাদের রয়েছে।
প্রজাতন্ত্রের নবীন কর্মচারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা অল্প সংখ্যক ভাগ্যবান ব্যক্তি দেশ সেবার সুযোগ পাচ্ছেন। কাজেই আপনাদের চিন্তা-চেতনা জনকল্যাণমূলক হতে হবে। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে কাজের মধ্য দিয়ে আপনারা যে জ্ঞান লাভ করবেন সেটাই আগামী দিনে যখন উচ্চ পর্যায়ে যাবেন, বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশকে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যে পরিকল্পনা নিয়েছি তা বাস্তবায়নে মূল কারিগর আপনারাই হবেন। কাজেই এখন থেকে আপনাদের সেভাবে কাজ করতে হবে।
দক্ষ সিভিল সার্ভিসের গুরুত্ব তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, একটা প্রশিক্ষিত দক্ষ সিভিল সার্ভিস সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অন্যতম সহায়ক শক্তি বলে আমি মনে করি। আমরা যা প্রতিশ্রুতি দেই সেটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব কিন্তু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস প্রশাসনিক একাডেমির রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এইচ এন আশেকুর রহমান ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলি আজম। এ সময় বিসিএস প্রশাসনিক একাডেমির ওপর নির্মিত একটি অডিও-ভিজুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
১২১, ১২২ ও ১২৩ কোর্সে মোট ৯৯ জন অংশ নেন। ১২১, ১২২ ও ১২৩ থেকে প্রথম স্থান অধিকারকারী রেক্টর অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত তিন জন হলেন- মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবির, মো. রাকিবুর হাসান ও রেজওয়ানা আফরিন। এ সময় তারা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
পাশাপাশি, ১২১ এর মহুয়া আফরোজ ও আলাউদ্দিন, ১২২ এর সাবরিনা শারমীন ও সুমা খাতুন এবং ১২৩ এর কাজী মো. অনিক ইসলাম ও মেহেদী হাসান যথাক্রমে এই কোর্সগুলোর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।