পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এই দেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ও মানুষের জন্য প্রয়োজনে বাবার মতো জীবন দিতেও সঙ্কোচবোধ করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাত আটটায় ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
সরকারপ্রধান জানান, দেশপ্রেম, কর্তব্যবোধ, জনগণের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে কাজ করা যায় না। জনগণের প্রতি তার আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই কাজ করতে পারছেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলো ভুলে যায়নি। একে একে সবগুলো পূরণ করছে। জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষ্যেই বড় বড় সব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যারা এদেশের সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা কেন দেশের সমুদ্রসম্পদ আদায়ে পদক্ষেপ নেননি, সেই প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আইন করেছিলেন। যেখানে আমাদের সমুদ্রসীমা যে অধিকারটা তিনি নিশ্চিত করে গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, এক দিকে মিয়ানমার, অপরদিকে ভারত, জাতির পিতার যে আইন সে আইন বাস্তবায়ন করার জন্য ১৯৭৫ সালের পরে যারা ক্ষমতায় আসে তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। কেন নেয়নি সেটাই বড় প্রশ্ন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা নাকি এত ক্ষমতাধর ছিল! অথচ আমাদের যে এত বড়টা সম্পদ, সেই সম্পদটা কিন্তু তখন তারা আদায় করার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই সমস্ত গ্যাসফিল্ড জাতির পিতা ক্রয় করেছেন। আমাদের যে সংবিধান দিয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পারে সেই ব্যবস্থা তিনি দিয়ে গেছেন। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা সংবিধানে বর্ণিত ছিল। কিন্তু পঁচাত্তরের পর ২১ বছর আমাদের অন্ধকার জীবন কাটাতে হয়েছে।’
১৯৯৬ সালের ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজার অঞ্চলের বিশাল ক্ষতি হয়। তখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের সে সময় তেমন কোনো উদ্যোগ ছিল না বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের সব রুটের বিমান চলাচল করবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর সবচেয়ে সুন্দর এবং সর্বশ্রেষ্ঠ বিমানবন্দর হবে।’
সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অর্জন সম্ভব হতো না, যদি আমার ওপর আপনাদের বিশ্বাস না থাকতো। যদি না আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেতাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কক্সবাজার মানুষের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা ছিল না। দারিদ্রের কষাঘাতে ছিল। আমি বদরখালীতে চিংড়ি চাষি, লবণ চাষিদের অধিকার নিয়ে কাজ করেছি। কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী আমরা ঘুরেছি। সেন্টমার্টিন দ্বীপ, ইনানী এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আমি যাইনি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।