পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবসরে পাঠানো সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) এবং তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সংস্থার জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহা অসৎ উদ্দেশ্যে বিশ্বাসভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছেন। সেসব অপরাধলব্ধ অর্থ নিজেদের ভোগ দখলে রেখে তার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান গোপন করে বা এর ছদ্মাবরণে পাচার করেন। ওই অর্থ বিভিন্ন সময় ভাই অনন্ত কুমার সিনহার আমেরিকার বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে ২ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাচার করেছেন এস কে সিনহা। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এজাহারে ঘটনার বিবরণ দিয়ে উল্লেখ করা হয়, প্রধান বিচারপতি থাকাকালে এস কে সিনহা বিদেশে অর্থ পাচার করেছেনÑ এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান পর্যায়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তথ্য-উপাত্ত চেয়ে কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই, সিংগাপুরসহ কয়েকটি দেশে চিঠি দেন। এ প্রেক্ষিতে এস কে সিনহা একটি তিন তলা বাড়ির মালিকÑ এমন রেকর্ডপত্র পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এস কে সিনহার সহোদর অনন্ত কুমার সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে একজন ডেন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত। তিনি ওই দেশের ব্যাংক থেকে ৩০ বছরের জন্য ১০৮৭৫০ মার্কিন ডলার ঋণ নিয়ে ১৪৫,০০০.০০ ডলার দিয়ে একটি বাড়ি কেনেন। ২০১৮ সালের ১২ জুন ২৮০,০০০ ডলার ক্যাশ দিয়ে অপর একটি বাড়ি কেনেন। অনন্ত কুমার সিনহার ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংক, প্যাটারসন, নিউজার্সি এর অ্যাকাউন্ট নং-৮৫৮০৩৩৭৫-এ ১১ এপ্রিল ২০১৮ থেকে ২০ জুন, ২০১৮ পর্যন্ত ১৯৬,৪৫৮ ডলার জমা হয়। ৫ মার্চ ২০১৮ থেকে ২৮ মে ২০১৮ পর্যন্ত ৬০,০১০ ডলার জমা হয়। এই ডলার ইন্দোনেশিয়া এবং কানাডার ‘রয় এ গ্রæপ’র কাছ থেকে প্রাপ্ত মর্মে জানানো হয়। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি সেল কোম্পানী। অন্যদিকে, অনন্ত কুমার সিনহা ১৫৭,০৯০ ডলারের ক্যাশিয়ার চেক সংগ্রহের জন্য তার বড় ভাই সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে নিয়ে ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকে আসেন। সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান, আমেরিকার প্যাটারসন এলাকায় বাড়ি ক্রয়ের জন্য বন্ধুর কাছ থেকে তিনি অর্থ পেয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বাংলাদেশে প্রধান বিচারপতি থাকাকালে বিভিন্ন ভাবে অবৈধ টাকা অর্জন করে তা হুন্ডিসহ বিভিন্ন কায়দায় যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করে তার ছোট ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে উক্ত অর্থ স্থানান্তর করেন। তা দিয়েই ১৭৯, জ্যাপার স্ট্রিট, প্যাটারসন নিউ জার্সি ০৭৫২২’ তে ১২ জুন,২০১৮ ইংরেজি তারিখে ২৮০,০০০ ডলার ক্যাশ দিয়ে একটি বাড়ি কেনেন। দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, এ বাড়িটির প্রকৃত মালিক সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এই প্রেক্ষাপটে সাবেক এ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে অপরাধলব্ধ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন- মর্মে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।