Inqilab Logo

শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাঘ সংরক্ষণ শিখতে বিদেশ যাবেন ২০ কর্মকর্তা

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৭ এএম

বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে এমন দেশে হাতে কলমে অভিজ্ঞতা নিতে ২০ জন সরকারি কর্মকর্তা সফরে যাবেন। এর জন্য সম্ভাব্য দেশের তালিকায় রয়েছে নেপাল ও ভারত। প্রায় ৩৬ কোটি টাকার বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের অর্থ থেকে এ সফরের ব্যয় সংকুলান করা হবে। সফরটি কমপক্ষে ১০ দিনের হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো ও সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন। বিদেশ সফরে মোট কত টাকা ব্যয় হবে, কতদিন তারা থাকবেন এবং এ সফরের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু কর্মকর্তাদ্বয় জানাতে পারেননি।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, গত ২৩ মার্চ সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প শীর্ষক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ ও সুরক্ষার কাজ করা হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত। এ প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবনে বাঘ গননা করা, বাঘ গননার জন্য আবাসন লঞ্চ ও সাপোর্ট বোট চার মাসের জন্য ভাড়া করা, ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বাঘ গননার জন্য ২০০টি বিশেষ ক্যাটাগরির ক্যামেরা সংগ্রহ, ব্যাটারী, এসডি কার্ড ক্রয়, জরিপ দলে অনিয়মিত শ্রমিক, ট্রলার চালক ও জরিপের সকল কার্যক্রম পরামর্শক বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরিচালনা, জরিপ দলের সকল সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান, উপাত্ত সংগ্রহ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য ৩ কোটি ২৪ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। তারা জানান প্রকল্পের বাকি টাকা ব্যয় হবে বাঘ সংরক্ষণের জন্য।

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সুন্দরবনের বাঘ-মানুষ দ্ব›দ্ব নিরসনে ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের ৩৪০ জন সদস্য ও ৪টি রেঞ্জের কমিউনিটি পেট্রোল গ্রæপের ১৮৫ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান, তাদের পোষাক সরবরাহ ও প্রতি মাসে বনকর্মীদের সাথে মাসিক সভা করা। এছাড়া বাঘের খাদ্য হরিণ, বন্য শুকর ইত্যাদি প্রাণির জরিপ, সুন্দরবনের বাঘ স্থানান্তর, অন্তত দুটি বাঘে স্যাটেলাইট কলার স্থাপন ও মনিটরিং করা, বাঘের পরজীবির সংক্রমণ ও অন্যান্য ব্যাধি এবং মাত্রা নির্ণয়, উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ ইত্যাদি কার্যক্রম এ প্রকল্পটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। তারা আরো জানান বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবনে প্রায় প্রতিবছর আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুষ্ক মৌসুমে সুন্দরবনের যে অংশে আগুন লাগার প্রবণতা বেশি সে জায়গায় দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ ও সুন্দরবনে আগুন লাগলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভানো যায়, আগুন নেভানোর যন্ত্রাংশ, পাইপ ও ড্রোন ক্রয় ইত্যাদি কার্যক্রম এ প্রকল্পের মাধ্যমে করা হবে। বন বিভাগের মতে বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশে ৩৮৪০টি বাঘ প্রকৃতিতে টিকে আছে। তার মধ্যে ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা আছে ১১৪টি যা ২০১৫ সালে ছিল ১০৬টি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ