পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ব্যবসা সহায়ক পরিবেশের উন্নয়ন, নীতি সংষ্কার ও নতুন নতুন নীতিমালা গ্রহণ, কর কাঠামোর সহজীকরণ, কর্পোরেট করের হার হ্রাস, সিএমএসএমই খাতের বিকাশ, পণ্য বহুমুখীকরণে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদান, টেকসই বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন, লজিস্টিক খাতের বিকাশে সুনিদিষ্ট দিক-নির্দেশনা প্রদান এবং নীতি সহায়তার ধারাবাহিকতা প্রভৃতি বিষয়গুলো আগামী বাজেট গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন ‘প্রাক-বাজেট আলোচনা’ সভায় অংশগ্রহণকারী বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪ যৌথভাবে আয়োজিত লাইভ “প্রাক-বাজেট আলোচনা: প্রেক্ষিত বেসরকারিখাত” অনুষ্ঠান আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজার হলে অনুষ্ঠিত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, এমপি উক্ত অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, এফবিসিসিআই’র প্রাক্তন সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), এমপি এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, আগামী বাজেটে লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানীর কর্পোরেট কর হার ২.৫% হ্রাস, কর্পোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ার উপর বিদ্যমান ২০% করের পরিবর্তে ১০% কর নির্ধারণ এবং বার্ষিক টার্নওভারের ঊর্ধ্বসীমা ৪ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। এছাড়াও প্রান্তিক বিনিয়োগ ও সঞ্চয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমানতের সুদ বাড়ানোর জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যয় হ্রাস, সিএমএসএমই খাতের সংজ্ঞা পুনঃনির্ধারণ এভং এখাতে বার্ষিক টার্ণওভারের ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণ প্রদান, দেশের পুঁজিবাজার কে বিকশিত করতে সুসুক’র মত অন্যান্য সিকিউরিটাইজড বন্ড প্রবর্তন এবং গ্রীনফিল্ড অবকাঠমো প্রকল্পে পাঁচ বছরের জন্য কর অব্যাহতির প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি চামড়া খাতে বন্ড লাইসেন্স প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাসকরণ, সম্ভাবনাময় নতুন শিল্পখাতের বিকাশের পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্পের জন্য বেজা’র লীজ রেন্ট-এর উপর ভ্যাট অব্যাহতির দাবী জানান। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দেশের বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় বেসরকারিখাতের বিনিয়োগকে উৎসাহিতকরণ, লজিস্টিক নীতির দ্রুত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে সকল সেবা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিতকরণের প্রস্তাব করেন।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, এমপি জানান, আমাদের বেসরকারিখাতের উদ্যোম ও উদ্দীপনাই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসলে সরকারের উন্নয়নের অভিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অজর্ন সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে ইতোমধ্যে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যার সুফল শীঘ্রই দেশবাসী ভোগ করতে পারবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ তরুন প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মানে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে ‘ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ’ উন্নয়নের উপর তিনি জোরারোপ করেন, যার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় বিনিয়োগ বাড়বে। তিনি উল্লেখ করেন, জার্মানী ও আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারী খাত, তাই আমাদেরকে স্থানীয় এসএমই উদ্যোক্তাদের বিকাশের প্রতি আরো বেশি নজর দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে মোঃ শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), এমপি বলেন, করোনা মহামারী হতে উত্তোরণের জন্য সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান করলেও অনেক সিএমএসএমই উদ্যোক্তা তা পাননি, এমতাবাস্থায় আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ হতে ঋণ সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি কর্পোরেট কর হার হ্রাসকরণের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের আস্থা বৃদ্ধির জোরারোপ করেন। এছাড়াও তিনি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে সম্পন্নের উপর জোরারোপ করেন, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে এবং প্রকল্প ব্যয় হ্রাস পাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক আইনে যেকোন পরিবর্তন ও পরিমার্জনের ক্ষেত্রে তিনি চেম্বার এবং এসোসিয়েশনসমূহের মতামত গ্রহণের উপর জোরারোপ করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, সরকার এবং বেসরকারিখাতের সমন্বয়ে আজকের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে, এমন বাস্তবাতায় দেশে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আগামী বাজেটের জন্য চেম্বার হতে ৭৮টি এবং এসোসিয়েশন হতে ৮৬টি প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে এনবিআরের নিকট এফবিসিসিআই প্রেরণ করেছে, যেগুলো বিবেচনা করবেন আশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, লজিস্টিক খাতে আমারা অনেক পিছিয়ে রয়েছি, বিশেষকরে বন্দরগুলোতে সেবার মান বৃদ্ধির উপর আমাদের আরো মনোনিবেশ করতে হবে। দেশের শিল্পখাতের সার্বিক উন্নয়নে তিনি ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের উন্নয়নের পরামর্শ প্রদান করেন, যার মাধ্যমে এসএমই খাত বিকশিত হবে। স্বল্পন্নোত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তোরণ পরবর্তী সময়ে দেশের ব্যাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে নীতি সহায়তা প্রদানের উপর জোরারোপ করেন।
“আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), ‘আর্থিক খাত’, ‘শিল্প ও বাণিজ্য’ এবং ‘অবকাঠামো’-এ চারটি সেশনের আলোচনায় দেশের বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
“আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)” সেশনের আলোচনায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এর চেয়ারম্যান ও ডিসিসিআই’র প্রাক্তন সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম, এমসিসিআই সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর প্রাক্তন সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন।
আসিফ ইব্রাহীম লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানীর কর্পোরেট কর হার কমানো এবং এসএমই উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার জন্য বাজেটে দিক-নির্দেশনার অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব করেন।
এমসিসিআই সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম দেশের সার্বিক ট্যাক্স ও ভ্যাট কাঠামো কে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি করোনা পরবর্তী সময়ে প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
এনবিআর-এর প্রাক্তন সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন রাজস্ব প্রশাসনে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
‘আর্থিক খাত’ সেশনের আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ডঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় এবং শান্তা এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড-এর ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান, সিএফএ এফসিএমএ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ডঃ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, করোনা মাহামারী মোকবেলায় শিল্পখাতের জন্য ইতোমধ্যে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সামনের দিনগুলোতে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ ধরনের আর্থিক ও নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী নাসের এজাজ বিজয় দেশের শিল্পখাতের বিকাশে এসএমইদের সংজ্ঞা পুনঃনির্ধারন এবং সভরেন বন্ড চালুকরণের উপর জোরারোপ করেন।
শান্তা এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড-এর ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজারকে শক্তিশালীকরণ, ভালো ভালো কোম্পানীকে পুঁজিবাজার আসার জন্য উৎসাহিতকরণ এবং মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নয়নের আহ্বান জানান।
‘শিল্প ও বাণিজ্য’ সেশনের আলোচনায় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ আজিম, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল এবং ইফাদ গ্রুপ’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিসমূহে ঘন ঘন পরিবর্তন না আনা এবং করের আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি কর ব্যবস্থায় অটোমেশনের উপর জোরারোপ করেন।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিকাশে নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখা, ব্যবসা সহায়ক পরিবেশের উন্নয়ন এবং রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের প্রস্তাব করেন।
ইফাদ গ্রুপ’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ তৈরি পোষাক শিল্পের ন্যায় তথ্য-প্রযুক্তি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দীর্ঘমেয়াদী নীতি সহায়তা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে আমাদের সম্ভাবনাময় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতটি আরো শক্তিশালী হবে। তিনি জানান, লাইট ইঞ্চিনিয়ারিং খাতে বৈশ্বিক বাজারের পরিমাণ প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, তাই অটোমোবাইল খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকারকে এখনই মনোযোগী হতে হবে।
‘অবকাঠামো’ সেশনের আলোচনায় বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোন ইনভেস্টরস্ এসোসিয়েশন-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জব্বার, এক্সপো গ্রুপ বাংলাদেশ’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ফ্রাইট ফরওয়াডার্স এসোসিয়েশন-এর প্রাক্তন সভাপতি মাহবুবুল আনাম, এলায়েন্স হোল্ডিংস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী জওহর রিজভী এবং দেশ এনার্জি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নাভিদুল হক অংশগ্রহণ করেন। আলোচকবৃন্দ জ্বালানী খাতে আমদানি নির্ভরতা কমানো, লজেস্টিক খাতের উন্নয়েন সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং ‘সেমি কনডাক্টার ইন্ডাস্ট্রি’-এর বিকাশে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদানের প্রস্তাব করেন।
সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারিখাত অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, তাই আমাদের বিকাশমান অর্থনীতির আরো সম্প্রসারণে সরকারের উচিত বেসরকারিখাতকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা। তিনি সংবাদপত্র শিল্পের উপর নির্ধারিত কর্পোরেট করের হার হ্রাসকরণ এবং নিউজপেপার আমদানির উপর উৎসে কর ও ভ্যাট শিথিলের প্রস্তাব করেন।
আলোচনা সভায় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আরমান হক, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন সহ পরিচালনা পর্ষদের সদসবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।