Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২২, ১২:০৪ এএম

কুলাউড়ায় দিনদুপুরে প্রকাশ্যে পোষ্য হাতিকে দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও লোকালয় থেকে নগদ টাকা তুলে চাঁদবাজি করছেন এক হাতির মাহুত। আইনীভাবে হাতি দিয়ে এসব অবৈধ কাজ নিষিদ্ধ থাকলেও বিভিন্ন মালিকানাধীন হাতির মাহুতরা তা তোয়াক্কা না করে প্রায় সময় শহরের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এসব চাঁদবাজি করে আসছেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকজন।
সরেজমিন দেখা যায়, গত কয়েকদিন থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের নোনা মিয়ার মালিকানাধীন বাচ্চাসহ একটি পোষ্য হাতির মাহুত আজিজুল মিয়া হাতি দিয়ে উচ্চস্বরে গর্জন দিয়ে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পথচারিদের ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে নগদ টাকা উত্তোলন করছে। হাতির উচ্চ শব্দে অনেকে ভয়ে দ্রুত টাকা দিয়ে থাকেন মাহুতের কাছে। প্রতিটি দোকান থেকে ১০০- সর্বনিম্ন ১০ টাকা দিতে হয় মাহুতের কাছে। কোনো কোনো দোকানে হাতি যেতে না চাইলে ধারালো লোহাযুক্ত লাটি (পুলি) দিয়ে মাহুত তাকে আঘাত করলে হাতি বাধ্য হয়ে সেইসব দোকানে গিয়ে বিকট শব্দ করে শুড় দিয়ে টাকা এনে মাহুতের হাতে দেয়। হাতির এ বিকট শব্দ শুনে অনেক সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগত ছোট শিশুরা মারাত্মক ভয় পায়। এভাবে হাতি দিয়ে টাকা তুলে একেক বাজার থেকে মাহুতের ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা হয়ে যায়। হাতির মাহুত আজিজুলকে কী কারণ এসব টাকা তোলা হচ্ছে জিজ্ঞেস করা হলে সে জানায়, হাতির খাবার জোগাড় করার জন্য। অথচ হাতির প্রধান খাদ্য হচ্ছে জঙ্গলের গাছপালা ও ফলমূল।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, হাতি দিয়ে টাকা উত্তোলন করা সম্পূর্ণ বেআইনী। যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যারা এ কাজ করছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা দরকার। এসব হাতি মূলত বন্যপ্রাণী। এদেরকে পোষ্য করে তাদের দেখভাল, বংশবিস্তার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মালিকদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, হাতি দিয়ে টাকা তুলে চাঁদাবাজি করার জন্য নয়। এভাবে যদি কোনো হাতির মাহুত টাকা তুলে মানুষকে হয়রানি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ