Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৮৯ শতাংশ শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না

বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২২, ১২:০৩ এএম

করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে পারিবারিক আর্থিক সহায়তার জন্য দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। করোনার আগে রাজধানী ঢাকায় শিশুশ্রমের হার ছিল ৪৪ শতাংশ। বর্তমানে এ হার ৫৬ শতাংশ। কোভিডের আগে ৫৭ শতাংশ শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ে যেত। বর্তমানে প্রায় ৮৯ শতাংশ শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না। গত রোববার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এডুকো) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের শিশুশ্রম : অভিজ্ঞতা ও করণীয়’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে করোনাকালীন এবং এর পরবর্তী সময়ে শিশুশ্রমের পরিস্থিতির ওপর এক গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। এতে এই চিত্র উঠে এসেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু এবং বিশেষ অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন এডুকো বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব প্রগ্রামস ফারজানা খান। তিনি বলেন, বর্তমান মহামারি বিভিন্ন পরিবারে এক অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। ফলে অনেকেই পারিবারিক উপার্জন বাড়ানোর জন্য শিশুশ্রমের আশ্রয় নিচ্ছে। এডুকো বাংলাদেশ ঢাকা শহরের ৪৪৩ জন শিশুশ্রমিকের ওপর জরিপ করেছে। এতে দেখা গেছে, প্রায় ৫৬ শতাংশ শিশু শ্রমিক সংসারে মা-বাবাকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন কাজ করেছে। কেননা কোভিডের কারণে তাদের পরিবারের আয় কমে গেছে। প্রায় ৫৩ শতাংশ শিশু শ্রমিক লকডাউনের সময় কোনো কাজ করার সুযোগ পায়নি। ফলে তাদের জীবনধারণ খুবই কঠিন ছিল। কোভিডের সময় প্রায় ২৭ শতাংশ শিশু শ্রমিকের আয় অর্ধেকে নেমে গেছে। প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু শ্রমিক বা তাদের পরিবার লকডাউনের সময় কোনো ধরনের সহায়তা পায়নি। কোভিডের আগে ৫৭ শতাংশ শিশু শ্রমিক স্কুলে যেত।

বর্তমানে প্রায় ৮৯ শতাংশ শিশু শ্রমিক স্কুলে যাচ্ছে না। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। শিশুশ্রম নিরসনে সরকার জোর দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার ওপর। শিশুশ্রম নিরসনে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। এ ক্ষেত্রে এনজিওরা অনেক ভালোভাবে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, সরকার শিশুশ্রম নিরসনে অনেক কাজ করছে। শিশুদের জন্য সেফটিনেট প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দরিদ্রতা কমানো হয়েছে এবং এটি শিশুশ্রম নিরসনে অনেক ভূমিকা রাখবে। সরকারের পাশাপাশি এনজিওরা শিশুশ্রম নিরসনে অনেক কাজ করছে। এভাবে কাজগুলো চলমান থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে এসডিজি গোল অর্জন করা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ