পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নির্বিচারে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের ইতিহাসে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আর ঘটেনি। তাই এটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির জোর দাবি জানান দেশের বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেন, এই দিনে গণহত্যার শিকার বীর শহীদদের স্মরণ করে আমরা আমাদের চেতনাকে শাণিত করতে পারি। গত শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস-২০২২’ পালন অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। ২৫ মার্চ কালরাতে শহীদ স্মরণে বিকাল থেকেই ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, আল্পনা আঁকা হয়। রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত ব্লাক আউট কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় ৫১টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিজেদের চেতনাকে শাণিত করতে ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে শহীদদের স্মরণ করছি, শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমাদের নতুন প্রজন্মকেও দেশ সৃষ্টির ইতিহাস জানতে হবে। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধুর লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতীক্ষার ইতিহাসটিও নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, শোষণে শুষ্ক এই পূর্ব বাংলায় ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারালেন। ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি হলো। এরপরও তাদের তৃষ্ণা মেটেনি। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করলো। রক্তাক্ত করলো বাংলাকে। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শোষণে শুষ্ক পূর্ব বাংলা মুক্তির মহানায়কের রক্তে রঞ্জিত হলো। আমরা রক্তঋণে আবারো আবদ্ধ হলাম। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের আগামী প্রজন্মকে নির্মাণ করতে হবে। তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, বঙ্গবন্ধুর চিন্তার চেতনায়, সংবিধানের ৪ মূলনীতির চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিদের পরিকল্পনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। বঙ্গবন্ধু এ কারণে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরমা দত্ত, রুবিনা মিরা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।