পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাষ্ট্রীয় পদক প্রদানেও সরকার আত্মীয়করণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এতো ব্যর্থ, এতো অযোগ্য তারা (সরকার) যে, স্বাধীনতার পদক যেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চালু করেছিলেন সেই পদক নিয়েও দুর্নীতি করেছে। আমির হামজা নামে একজনকে তারা পদক দিয়েছে, পরে বাতিল করে দিয়ে তদন্ত করছে। শুধু তারই কেনো? আরো যাদেরকে দিয়েছেন তাদেরটা তদন্ত করুন। তারা কারা? এদের বেশির ভাগই হয় মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজন অথবা তারা প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন তাদেরকেই এই পদক দেয়া হয়েছে এবার।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। বিএনপির স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে চিকিৎসা ও সেবা কমিটির উদ্যোগে ‘স্বনির্ভর দেশ গঠনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবদান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় ৭ জন প্রখ্যাত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধাকে তাদের অবদানের জন্য ক্রেস্ট প্রদান করেন।
তারা হলেন, প্রফেসর ফরিদুল হুদা, প্রফেসর মোবিন খান, প্রফেসর শামসুল ইসলাম, ডা. সাহাদাত হোসেন, প্রফেসর মোমিনুল ইসলাম, প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুস, প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও প্রফেসর আবদুল হক। এছাড়া বিএনপির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আবদুস সালামকেও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। মরহুম ডা. মো. ফরিদুল হুদার পক্ষে তার ছেলে নাজমুল হুদা বিপ্লব এবং প্রফেসর মোবিন খানের পক্ষে ডা. সাইফুল ইসলাম লেলিন ক্রেস্ট গ্রহন করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চতুর্দিকে তারা (সরকার) লুটপাট, দুর্নীতি এমন একটা জায়গায় নিয়ে চলে গেছে যে, এখন এদেশকে রক্ষা করতে হলে একমাত্র এদেরকে সরানো ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। আজকে এরা গণতন্ত্রের সর্বনাশ করেছে। লাখ লাখ মানুষকে ঘর ছাড়া করেছে। ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে, ৬‘শ অধিক মানুষকে গুম করে দিয়েছে, সহস্র মানুষকে তারা হত্যা করেছে- এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
পেশাজীবীদের প্রতি আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন সকল পেশাজীবী, সমস্ত রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে দূর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিবাদী ভয়াবহ সরকারকে সরিয়ে আমরা সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার স্বাধীনতা বিরোধী, জনগণের বিরুদ্ধের সরকার। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী আমরা পালন করছি। আর তারা তাদের কিভাবে অর্থ উপার্জন করবে, লুটপাট করবে, বিদেশে অর্থ পাঁচার করবে, আত্মীয়-স্বজনদের আরো বেশি টাকা-পয়সা উপার্জনের লক্ষ্যে তারা কাজ করছে।
দেশের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে দারিদ্র্যের হার দুই পারসেন্ট বেড়ে গেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা একদম গেছে। এটা বাস্তবতা। দ্রব্যমূল্যে এমনভাবে বেড়েছে, ইনফ্লুয়েশন এমনভাবে বেড়েছে যে, মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ চব্বিশ ঘণ্টা ওয়াদুল কাদের সাহেব বিএনপির দুঃস্বপ্ন দেখেন এবং সমানে কথা বলতে থাকেন। এখানেই বুঝা যায় যে, বিএনপি শুধু আছে না, বিএনপি প্রবলভাবে আছে যে, তাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি নিয়ে সরকার জনগনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করছে বলেও অভিযোগ করেন অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক ফখরুল।
চিকিৎসা ও সেবা কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রফেসর হারুন আল রশিদ ও সদস্য ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রফেসর আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আব্দুস সেলিম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন ডাবলু, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. শহীদুল আলম প্রমূখ চিকিৎসক বক্তব্য রাখেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।