Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভর্তুকির ওপর নির্ভর করবে বিদ্যুতের দাম

সংবাদ সম্মেলনে নসরুল হামিদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২২, ১২:১৫ এএম

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববাজারে অস্থিতিশীল জ্বালানি। এই পরিস্থিতিতে সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা উচিত। আর বিদ্যুতের দাম ভর্তুকির ওপর নির্ভর করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়বে কি না এটা নির্ভর করছে ভর্তুকির ওপর। প্রয়োজনীয় ভর্তুকির জন্য প্রস্তাব করেছি। সরকারের বিবেচনার বিষয় এ খাতে কতটুকু বিনিয়োগ করবে। বিদ্যুতের দাম আমরা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চাই। দামের বিষয় বিইআরসির ওপর নির্ভর করছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। এই সাফল্যের কৃত্বিত্ব শেখ হাসিনার। তার দূরদৃষ্টি সিদ্ধান্ত, অক্লান্ত পরিশ্রম এবং বিদ্যুৎ বিভাগ তার পেছনে থেকে এই সাফল্য নিয়ে আসছে। তিনি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। সুবর্ণ জয়ন্তী ও জন্মশতবার্ষিকীতে এই সম্মাননা বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য বিশাল অর্জন।

নসরুল হামিদ বলেন, বড় চ্যালেঞ্জ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণ। আমরা বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। সারাবিশ্বে তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি, এলএনজির দাম বাড়ছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে তা মাথায় নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। আমি মনে করি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে এখন যে প্রকল্পগুলো রয়েছে সেগুলো ক্ষেত্র তৈরি করবে। বিশেষ করে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র। আবার রামপাল, মাতারবাড়ি যে বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে সেগুলো নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কেন্দ্র।

তিনি বলেন, ২৭০ ডলারের তেল ৭০০ ডলার। ৩০০ ডলারের এলএনজি ১২০০ ডলার। বড় বিষয় যে কিভাবে এগুলো সমন্বয় করা হবে। সরকার বিদ্যুতে কতটুকু বিনিয়োগ করবে এ জায়গাটা স্থিতিশীল রাখার জন্য। এটা অর্থ বিভাগ বুঝবে। আমাদের তো একটা প্রস্তাবনা আছে। তারা (অর্থ বিভাগ) যদি বলে সব শকড নেবে, তাহলে তো এখানে কোনো প্রশ্ন আসে না। যদি বলে না ফিফটি ফিফটি আমি শকডটা দেবো (অর্ধেক ভর্তুতি দেব), তাহলে আরেক রকম প্রশ্ন আসবে। এটা নির্ভর করে ফাইন্যান্সের ওপর, আমার ওপর তো নির্ভর করে না। সবাই যেন প্রস্তুত থাকে। হয় শকড আসবে, না হয় আসবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ একটা ভালো জায়গায় যেতে পারবো। বিদ্যুতের ব্যবহারের ব্যাপারে যেহেতু বিশ্বব্যাপী একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাই সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা উচিত।

তিনি বলেন, রমজান মাসে তারাবিহ নামাজের সময় মসজিদের এসিগুলো অতিরিক্ত দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি করে। আমাদের এ বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। যাতে আমরা ওই সময়টা কম ব্যবহার করে কতটুকু সাশ্রয়ী করতে পারি।

বিদ্যুৎ বিভাগ স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেলো। এ ধরনের সম্মানা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া আগামীতে চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করবো, সে জন্য পরিকল্পনা নিতে হবে। এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ