Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দলের বেঈমানদের ষড়যন্ত্রে জাতির পিতাকে হারাই

স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২২, ১২:১৫ এএম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাÐের পেছনে দলের কিছু নেতার ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় সামরিক বাহিনীর কিছু বিপথগামী লোক এবং খন্দকার মোশতাকসহ দলের কিছু বেইমানদের ষড়যন্ত্রেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হারাই।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জাতির পিতার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে একটা নতুন সমাজ গড়তে। উপনিবেশিক শাসকদের তৈরি করা প্রশাসনিক কাঠামো এবং শাসন প্রক্রিয়া, শোষণ, বঞ্চনার হাত থেকে দেশকে মুক্তি দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের ক্ষমতায়ন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করাই ছিল তার লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলবো যাতে বিশ্বের কাছে কোন বাঙালিকে আর মাথা নিচু করে চলতে না হয়। দেশের স¤প্রতিক উন্নয়ন অগ্রগতিকে আলোর পথের যাত্রা আখ্যায়িত করে একে অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, সমগ্র জাতির কাছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে আমার আহবান থাকবে, অনুরোধ থাকবে, আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাধীন এদেশকে আমরা এমনভাবে সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলবো যাতে বাঙালি জাতিকে আর বিশে^র কারো কাছে মাথা নত করে চলতে না হয়। আমরা উন্নত-সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করেই এগিয়ে যাব। আলোর পথের এই যাত্রা অব্যাহত থাক, বাংলাদেশের মানুষ সুখী সমৃদ্ধ এবং উন্নত জীবন লাভ করুক। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা ধরে রেখে এর সুফল প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব, এটাই আমাদের লক্ষ্য এবং সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কভিড-১৯ এর কারণে বিশ^ অর্থনীতির মন্দাভাব এবং দেশে দেশে খাদ্য সংকট থাকলেও আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পারায় সরকারের সাফল্যেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দেশে বেসরকারি খাতে গণমাধ্যমকে ছেড়ে দেয়ায় এর অবাধ স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে অনেক ছোট খাটো বিষয়ও সামনে চলে আসে কিন্তু বিশে^র অনেক দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য সংকটের যে বিষয় রয়েছে তা তারা প্রচার করেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রচার না করলেও আমরা জানি অনেক উন্নত দেশে ব্যাপকভাবে খাদ্যের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি যারা সারাবিশে^ মোড়লগিরি করে বেড়ায় তাদেরও অনেক মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে চলে গেছে। কিন্তু সেদিক থেকে বিবেচনা করলেও করোনা মোকাবিলা করেও বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা আমরা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি লোকরা যেমন করেছে তেমনি আমার দলের লোকরাও আন্তরিকতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সহযোগিতা করেছে। তিনি ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশের আনাচে কানাচে অনেক মানুষ ছড়িয়ে আছে যাঁরা মানুষের সেবা করেন নিজেদের উদ্যোগে। সেই ধরনের মানুষগুলোকেও আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদেরকেও পুরস্কৃত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মানুষের কল্যাণে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন এমন অনেকেই রয়েছেন তারা কখনো প্রচারে আসেন না। তারা দৃষ্টি সীমার বাইরেই থাকেন। কিন্তু তাদেরকে খুঁজে বের করে আমাদের পুরস্কৃত করা উচিত এ করণে যে, তাদের দেখে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এবং অন্যরা শিক্ষা লাভ করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের সেবার এবং কল্যাণের মধ্যদিয়ে যে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় হাজার ধন সম্পদ বানালেও সেটা হয় না। কাজেই সেভাবেই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে।

শেখ হাসিনা মঞ্চ থেকে নেমে এসে জীবিত দুই মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুদ্দীন আহমেদ ও আব্দুল জলিলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়া স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য এবার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (মরনোত্তর) শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম) (মরনোত্তর) ছাড়াও মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস এবং সিরাজুল হক (মরনোত্তর) ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন। ‘চিকিৎসাবিদ্যায়’ পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া ও অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম এবং ‘স্থাপত্যে’ ক্যাটাগরিতে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।

এ ছাড়াও, ‘মুজিব বর্ষে’ বাংলাদেশকে শত ভাগ বিদ্যুতায়নে সাফলোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’ বিভাগে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রত্যেক পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিকে একটি স্বর্ণপদক, একটি সার্টিফিকেট এবং একটি সম্মানী চেক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক. ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং ‘স্বাধীনতা পুরস্কার পদক-২০২২’ বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

গত ১৫ মার্চ জাতীয় পর্যায়ে গৌরবময় ও অসাধারণ অবদানের জন্য ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি¡ ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’-এর জন্য চূড়ান্ত করে সরকার। পরবর্তীতে সাহিত্য ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য মনোনীত আমির হামজার নাম বিতর্কের কারণে বাদ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বুধবার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’-এর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের নাম মনোনীত করা হয়েছে। ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বতন্ত্র জাতিস্বত্তা অর্জনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র দিয়েছেন। তিনি এ সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মিত্র ভারতীয় বাহিনীর আত্মত্যাগ, ভারত সরকার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সহযোগিতার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের মত মিত্র বাহিনীর এ দেশে অবস্থান না করে দেশে ফিরে যাওয়ায় জাতির পিতার ক‚টনৈতিক সাফল্যেরও উল্লেখ করেন তিনি।

জাতির পিতা একটা ধ্বংস স্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে দেশকে পুণর্গঠনের পাশাপাশি জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সে সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেন। সে সময়ই বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদাও এনে দেন জাতির পিতা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে গণমানুষের শাসন ব্যবস্থা কায়েম এবং তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যেন তা পৌঁছাতে পারে সেই পদক্ষেপ নেন এবং দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি হাতে দেন। পাশাপাশি সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। কিন্তু ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেট শুধু যে জাতির পিতাকেই সপরিবারে হত্যা করে তা শুধু নয় বাংলাদেশের ভবিষ্যত এবং আলোর পথের যাত্রাকেও অন্ধকারে নিমজ্জিত করে। জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, যে ভাষণ দেশে বাজানো নিষিদ্ধ ছিল তা বিশ^ ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্থান করে নেয়। যে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাকে আবার ফিরিয়ে আনে।

সরকার প্রধান বলেন, আজকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুতের আলো জ¦ালাতে আমাদের সরকার সক্ষম হয়েছে। ২০২১-রুপকল্প অর্জনের পর এখন আমরা ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়েছি। যাতে আগামী দিনে আমাদের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে। আর এই ব-দ্বীপ অঞ্চলের মানুষ যাতে আগামীতে একটি সুন্দর জীবন পায় এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন পেতে থাকে সে জন্য ‘ডেল্টা প্ল্যান -২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা এ সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। ফলে বাংলাদেশ আর পর মুখাপেক্ষী থাকবে না। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে এবং বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে।

 



 

Show all comments
  • Shamim Sakibul ২৫ মার্চ, ২০২২, ৭:২৪ এএম says : 0
    সেই বেঈমানেরা এখনো দলের ভেতরে প্রভাবশালী।
    Total Reply(0) Reply
  • A S M Rakibuzzaman ২৫ মার্চ, ২০২২, ৭:২৪ এএম says : 0
    দ্রুব সত্য টা বললেন মাননিয় প্রধানমন্ত্রী,আজ এত এত কর্মী অতি উৎসাহী নেতা এদের থেকেও আপনাকে সতর্ক থাকা উচিত,অতি উৎসাহি তেলবাজ রাই ইতিহাস বলে বার বার ক্ষতি করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Firoz Khan ২৫ মার্চ, ২০২২, ৭:২৫ এএম says : 0
    কথাটা ১০০% সত্য
    Total Reply(0) Reply
  • Shohan Dacca ২৫ মার্চ, ২০২২, ৭:২৫ এএম says : 0
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেই বেইমানদের চিনতে চায়। জাতি কলঙ্কমুক্ত হোক তাদের সুষ্ঠু বিচারের মধ্য দিয়ে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kalam Mahmud ২৫ মার্চ, ২০২২, ৭:২৫ এএম says : 0
    ১০০% সত্যি কথা এই কথা সবাই চোখ বুজে বিশ্বাস করতে পারেন
    Total Reply(0) Reply
  • Jewel Chowdhury ২৫ মার্চ, ২০২২, ৭:২৬ এএম says : 0
    সত্য কথা
    Total Reply(0) Reply
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২৫ মার্চ, ২০২২, ১:২৬ এএম says : 0
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব‍্যাংক আইএমএফ আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর পরিসংখ্যান সহ দেশের অর্থনীতিবিদবিশ্ব বানিজ‍্যে বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান। আপনার ভীষণ ভীষনারি লিডারশিপে বাংলাদেশ ৪১সালের আগেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাবেন। বাংলাদেশ এই শক্তিশালী অবস্থানের সময় কেন রাজপথে রাজকীয় কিছু ফকিরের মিছিল হবে বলুন? আপনাকে গভীর শ্রদ্ধা সালাম জানিয়ে বলছি। আটার কোটি মানুষের অগ্রগতি উন্নতির জন্যে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্র যুবকের ভবিষ্যতের বিশালাকার কর্মসংস্থানের শক্তিশালী দেশ ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা শান্তি শৃংখলা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর সাথেবিশ্বাসঘাতকতা করে ইতিহাসের ভয়ংকর নির্মম জঘন্যতম হত‍্যাকান্ডের কুশীলবরা এখনো তৎপর। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বুকের রক্তে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত বঙ্গমাতার রক্ত রঞ্জিত অবুঝ শিশু হায়েনার গুলিতে রক্তাক্ত। আমি মায়ের কাছে যাব শহীদ রাসেলের করুন আর্তনাদ। গোটা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের উপর ভয়ানক বর্বরতা নির্মম নিষ্ঠুরতা। ঐ বঙ্গবন্ধুর শহীদি কাফেলার নির্মম মৃত্যু হতে বেচে গেছেন জাতিরপিতার দুইকন‍্যা শুধুমাত্র বিদেশে তাকার কারণে। ঐ মর্মস্পর্শি হ্নদয় বিদারক ভারাক্রান্ত মন নিয়ে দূঃখ বেচে আসেন বঙ্গবন্ধুর কন‍্যারা বাংলাদেশের মানুষের জন্যে। বঙ্গবন্ধুর ক্ষুদা দারিদ্র মুক্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্যে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিশ্বের মাঝে শক্তিশালী উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার বিকশীত নেতৃত্ব ভীষন মহা পরিকল্পনায়। কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনার মধ্যে দেশ। উন্নয়নের শক্র অগ্রগতির শক্ষরা ইউটিউবের মাঝে বাংলাদেশ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ভয়ানক কল্পকাহিনী মিথ্যার জঘন্যতম ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গেছে। গনতন্ত্রের নামা বাকস্বাধীনতার নামে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্টানের সম্মানিত ব‍্যাক্তিদের চরিত্র ধ্বংস করে তাদের পরিবার আত্মীয় স্বজনেরা পযর্ন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় নোংরামিতে আক্রান্ত। দেশের বিরুদ্ধে জাতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধানের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সকল বাহিনীর বিরুদ্ধে পৃথিবীর কোন জাতির কোন দেশের মানুষ করেছেন কিনা? করার সাহস রাখে কিনা? জানিনা। রাষ্ট্র কি দূর্বৃত্তায়নকে সমর্থন করবে? ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদমুখর নাই কে আপনার তৃণমূলের লক্ষ লক্ষ ছাত্র যুবক নেতা কর্মিরা?আপনার শারীরিক সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আল আমিনের পবিত্র দরবারে। আমিন। চলবে
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৫ মার্চ, ২০২২, ৪:৫৩ এএম says : 0
    এখন দলের সাথে কিছু লোক আছে,যেমন জাসদ ইনু এবং রাশেদ খান মেনন,তোফায়েল আহমদ,আমু,আরে আছে এরাও সহযোগিতায় ছিল,এদের বিচার আল্লা পাক করবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ