পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সমস্যার সমাধান এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ছয়টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা তাদের পরিচয়পত্র পেশ করার সময় তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানের পর প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাঁচ রাষ্ট্রদূত এবং একজন হাইকমিশনার আজ প্রেসিডেন্টের কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
তারা হলেন, মাল্টার হাইকমিশনার রুবেন গাউসি এবং পাঁচ রাষ্ট্রদূত কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের আসউইন ইসায়েভ, ফিনল্যান্ডের রিতভা কাউকু-রোন্ডে, সিয়েরা লিওনের রশিদ সেসে, হাঙ্গেরির আন্দ্রাস লাসজলো কিরালি এবং কলম্বিয়ার মারিয়ানা পাচেকো মন্টেস। বঙ্গভবনের দূতদের স্বাগত জানিয়ে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ আশা করেন নতুন দূতরা তাদের দায়িত্ব পালনকালে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগিতায় এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির কারণে গোটা বিশ্ব এখন পরস্পর নির্ভশীল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, নিজ নিজ দেশের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্প উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। মহামারি করোনাকালে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি বিপর্যস্ত হলেও সরকারের সময় উপযোগী পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। এ ব্যাপারে তিনি সম্মিলিত পদক্ষেপের ওপর গুরত্বারোপ করেন। পৃথকভাবে সাক্ষাৎকালে দূতরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং শান্তি মিশনে ভূমিকার ও প্রশংসা করেন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।