পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের দিল্লিতে অনলাইনে হোটেলের রুম বুক করেছিলেন কাশ্মীরের এক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি দিল্লিতে এসে হোটেলে গিয়ে বুক করা রুম পাননি। তার অপরাধ, তিনি কাশ্মীরি। অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তেমনটাই দেখা গেছে।
দিল্লির একটি হোটেলের এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে ভারতজুড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, হোটেলের রিসেপশনের মহিলা কর্মী বলছেন, দিল্লি পুলিশের নির্দেশেই তারা কাশ্মীরিদের রুম দিচ্ছেন না। অপরদিকে দিল্লি পুলিশ বলেছে, তারা এমন কোনও নির্দেশ দেয়নি।
ভিডিওটি গত বুধবার ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গেছে, কাশ্মীরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি দিল্লির একটি হোটেলে তার অনলাইন বুকিংয়ের কথা জানালে রিসেপশনের মহিলাকর্মী বলেন, তিনি চেক-ইন করতে পারবেন না। আধার কার্ড-সহ একাধিক পরিচয়পত্র দেখালেও ওই মহিলা তার সিনিয়রের সঙ্গে কথা বলে জানান, কাশ্মীরিদের ঘর দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু কেন? প্রশ্নের জবাবে মহিলা বলেন, দিল্লি পুলিশের নির্দেশে হোটেলে কাশ্মীরিদের রুম দেওয়া হচ্ছে না।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন জম্মু ও কাশ্মীর ছাত্র সংগঠনের মুখপাত্র নাসির খুয়ামি। তিনিই ওই ভিডিওটি পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলসের প্রভাব! পরিচয়পত্র থাকা সত্বেও দিল্লির হোটেলে রুম দিল না একজন কাশ্মীরিকে। যেন কাশ্মীরি হওয়াই অপরাধ।’
এদিকে এই ঘটনায় গত বুধবারই একধিক টুইট করে বিবৃতি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরিদের হোটেলে রুম দেওয়া যাবে না, এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি তারা। এইসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’ সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস, ট্রিবিউন ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।