পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানুষের শিকড় আছে। সেই শিকড় বাইরে থেকে দেখা যায় না। আর তা হল মাতৃভ‚মি। তাই নিজের গ্রামের কথা বলতে গেলেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে মানুষ। সেখানে যদি কেউ লজ্জায় নিজের গ্রামের নামটাই মুখে আনতে না পারে, তার চেয়ে বিড়ম্বনার আর কিছুই হতে পারে না।
ইউরোপের দেশ সুইডেনের একটি গ্রামের মানুষকে প্রতি মুহূর্তে সেই অস্বস্তির মধ্যেই পড়তে হয়। আসলে সুইডেনের ওই গ্রামের নাম হল ‘ফাক’। যা জনসমক্ষে মুখে আনেন না এ গ্রামের মানুষ। অথচ অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা গ্রাম, পাহাড় আর নদীর কোলের সন্তান এই গ্রাম, যা নিয়ে গ্রামবাসী গর্বিতও।
কিন্তু নিজেদের এলাকার নামের প্রসঙ্গ এলেই চুপ হয়ে যায় মানুষগুলো। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, গ্রামের নাম এমন কেন? আসলে গ্রামটির গা ঘেঁষে বয়ে গেছে একটি পাহাড়ি নদী। যার নাম ফাকেসজন। ওই নদীর নামের সূত্রেই গ্রামের নাম। অথচ গ্রামের নামের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় বøক হয়ে যায় অ্যাকাউন্ট। কাজের জায়গাতেও লোকে বাঁকা নজরে দেখে। বাজে প্রশ্ন করে, প্রতি মুহূর্তে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়।
প্রাচীন এই নাম আর ব্যবহার করতে চান না গ্রামের বাসিন্দারা। তারা যত দ্রæত সম্ভব তা বদলে ফেলতে চান। সুইডিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে এই বিষয়ে লিখিত আবেদনও করেছেন স্থানীয়রা। তারা গ্রামের বিকল্প নাম ‘দালস্রো’, যার অর্থ ‘নিঃশব্দ উপত্যকা’ প্রস্তাব করেছেন। সরকার বলেছে, গ্রামবাসীদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। তবে নাম বদলের প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগবে।
এ গ্রামের মানুষ যে বিড়ম্বনায় পড়েছেন, তা কিন্তু নতুন না। এর আগে সুইডেনেরই একটি শহরতলি, যার নাম ফাকবাই, সেখানকার বাসিন্দারাও নাম বদলে করতে চেয়েছিলেন। যদিও সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। সূত্র : ডেইলি মেইল, রেডিট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।