Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাঁচ বছরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করবে আইএফসি

বাংলাদেশ সফর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২২, ১২:০১ এএম

দক্ষিণ এশিয়ায় নিযুক্ত ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) আঞ্চলিক পরিচালক হেক্টর গোমেজ আং জানিয়েছেন, সংস্থাটি কর্মসংস্থানের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করতে চায়। এ দেশের টেকসই পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করা এবং সবুজ প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে নতুন এ বিনিয়োগ করা হবে। আং তার পাঁচ দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন তিনি। আইএফসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

সফরকালে তিনি ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, থিংক ট্যাংকস, সম্ভাব্য নতুন গ্রাহক এবং অন্যান্য মূল অংশীজনদের সাথে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে তার সঙ্গে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য আইএফসি’র নবনিযুক্ত কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টমান এবং আইএফসির উর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
জ্বালানি এবং জ্বালানি সঞ্চালন এবং কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নীত করতে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সাশ্রয়ী আবাসন আইএফসির বিনিয়োগের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে আং চিহ্নিত করেছেন আইএফসির এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। গোমেজ আং বলেন, আইএফসি জ্বালানি বৈচিত্র্য উৎসাহিত করে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ২০ শতাংশের বেশি বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়তা করেছে। আমরা জ্বালানির মিশ্রণ এবং সঞ্চালনের ক্ষেত্রে আরও কাজ করতে চাই, এবং এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, সবুজ, সাশ্রয়ী আবাসনে নতুন সুযোগ অনুসন্ধান করতে চাই’। তিনি আরও বলেন, বাসযোগ্য ঢাকা শহর দিয়ে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের বাংলাদেশের যাত্রা হবে এবং আমরা সাশ্রয়ী আবাসন খাত উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকের পর দেওয়া বক্তব্যে গোমেজ আং বাংলাদেশকে আরও বেশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। সুতরাং টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এবং বহিস্থঃ বাণিজ্যিক ঋণের দিকে নজর দেওয়া অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমাদের আলোচনা খুবই আশাব্যঞ্জক হয়েছে এবং আমরা ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য উম্মুখ।

গোমেজ আং বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধিতে এবং উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে আইএফসির বিনিয়োগ বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে এবং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। এসব উদাহরণের মধ্যে রয়েছে বিকাশ, চালডাল, ট্রাক লাগবে এবং সিটি ব্যাংকে ইক্যুইটি বিনিয়োগ যা মহামারির সময়ে ডিজিটাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করেছে। কোভিড-১৯ বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোর গুরুত্ব অনুধাবনে সাহায্য করেছে, যেটি আইএফসি চিহ্নিত অপর একটি বিনিয়োগ ক্ষেত্র।

মার্টিন হল্টমান বলেন, আইএফসি এদেশের প্রতি প্রতিশ্রæতিবদ্ধ, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে। মহামারীর প্রথম ১৮ মাসে আমরা ব্যবসায় সহায়তা করতে এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি। এসব বিনিয়োগ ব্যবসা সচল রাখতে, রফতানি পুনরায় শুরু করতে এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে। আমরা আগামী জুনে সমাপ্য চলতি অর্থবছরের মধ্যে আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

২০১০ সাল থেকে আইএফসি বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে প্রায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। আগামী পাঁচ বছরে আইএফসির লক্ষ্যমাত্রা বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় খাতে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ কর্মস‚চি, যার মধ্যে রয়েছে হালকা প্রকৌশল, অর্থনৈতিক অঞ্চল, আর্থিক ও পুঁজিবাজার এবং প্রবৃদ্ধি-সক্ষম টেকসই অবকাঠামো।
এ বছর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সাথে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপন করছে। বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে বেসরকারি খাতে উৎসাহ দিতে আইএফসি অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে।


নতুন প্রজন্মকে পূর্বসূরিদের ছাড়িয়ে যেতে হবে
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক
স্টাফ রিপোর্টার
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেছেন, দেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে নিতে কার্যক্রম চলছে। এটি সফল করতে নতুন প্রজন্মকে পূর্বসূরিদের থেকে আরও আধুনিক ও পরিবর্তনশীল করে গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সিআরআই-এর ত্রৈ-মাসিক পলিসি বিষয়ক ম্যাগাজিন হোয়াইট বোর্ডের সপ্তম সংখ্যার সম্পাদকীয়তে কথাগুলো বলেন তিনি। রাদওয়ান মুজিব সেখানে আরো বলেন, বিশ্বের ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনকে মোকাবিলা করতে পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তোলার বিষয়কে এখন অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

আগামী দুই দশকে দেশকে দু’টি মাইলফলকে এগিয়ে যেতে হবে জানিয়ে ত্রৈমাসিক হোয়াইট বোর্ডের প্রধান সম্পাদক রাদওয়ান মুজিব বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল ও ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ অর্থনীতিতে উন্নীত হতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে যারা স্কুলে পড়ছেন তারাই আগামী দুই দশকে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখার দায়িত্ব পালন করবেন।

এক পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, আগামী ২০ বছরে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে ও নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারকদের কথা ভাবতে হবে। দেশ পরিচালনায় বিশ্বের নাম করা গবেষক ও লেখকদের নানা পরামর্শ ভিত্তিক প্রবন্ধ নিয়ে দেশের প্রথম নীতি নির্ধারণ বা পলিসি বিষয়ক ম্যাগাজিন হোয়াইটবোর্ড। এর সপ্তম কিস্তিতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ‘ব্যাপক সংস্কার’ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানী প্রবন্ধ তুলে ধরা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ