পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরের পদ্মার ভাঙন কবলিত শরীয়তপুরের নড়িয়া এখন পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিয়েছে। ২০১৮ সালেও সাড়ে ৬ হাজার ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদরাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়। রক্ষা পায়নি পাকা বাড়ি, দোকানপাট, ক্লিনিক। অনেকেরই মা-বাবাসহ আত্মীয় স্বজনের কবর কোনো কিছুই নেই। পদ্মার গ্রাস থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত দুই বছর একটি বাড়িও ভাঙেনি।
৫০ বছরের ভাঙনকবলিত এলাকা এখন পরিণত হয়েছে নিরাপদ বসবাসের স্থান। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন অট্টালিকা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নড়িয়ার পদ্মাপাড় রূপ নিয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে। আগামীকাল শনিবার মহান স্বাধীনতা দিবসে নড়িয়ার বেড়িবাঁধের পাশে সুরেশ্বর থেকে মোক্তারেরচর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে ‘জয় বাংলা অ্যাভিনিউ’ এর উদ্বোধন হচ্ছে। জয় বাংলা অ্যাভিনিউয়ে রাতে আলোক সজ্জার জন্য রয়েছে নয়নাভিরাম স্ট্রিট লাইট এলইডি। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম জয় বাংলা অ্যাভিনিউ উদ্বোধন করবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ইনকিলাবকে বলেন, আমিও নদী ভাঙন এলাকার মানুষ। নদী ভাঙনের শিকার মানুষের কষ্টটা বুঝি। দীর্ঘ ৫০ বছরের ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই। তার নির্দেশে এলাকার মানুষকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। শুধু আমার নির্বাচনী এলাকাই নয়, শরীয়তপুর জেলাসহ সারা দেশেই নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নদীর বুকে যেন আর কোনো ঘরবাড়ি বিলীন না হয়, আমরা সে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ার নদী ভাঙন এলাকা বাঁশতলা, মুলফৎগঞ্জ, কেদারপুর, চন্ডীপুর, সুরেশ্বরের স্থানীয়দের মতে, বর্ষা এলেই পদ্মা পাড়ের মানুষের মনে জাগত ভাঙনের আতঙ্ক, আর্তনাদ ও হাহাকার। এক সময়কার কোটি টাকার মালিক নদী ভাঙনে হয়েছেন নিঃস্ব। এমন পরিবার আছে শত শত। পদ্মার ভাঙা-গড়ার সঙ্গে দিন-রাত লড়াই করে যারা কোনোরকমে বেঁচে থাকার চিন্তা করতেন, সে জায়গায় ভাঙন রোধ হয়ে এখন পরিণত হয়েছে ভ্রমণপিপাসুদের পর্যটন কেন্দ্রে। সেই জায়গায় এখন ভাঙন রোধ হয়ে গড়ে উঠেছে মানুষের নিরাপদ আবাসস্থল। আর পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধ যেন এখন পর্যটন নগরী। প্রতিদিনই শত শত লোক নদীর পাড়ে ঘুরতে আসেন।
নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে ১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৫০ বছরের নদীভাঙন কবলিত এলাকাকে রক্ষার করার জন্য বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটে গিয়েছিলেনে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী। এখন আর নদী ভাঙে না। মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারছে। এর আগের সংসদ সদস্য যারা ছিলেন তারা যদি তৎপর হতেন তাহলে আর এলাকাবাসী নদীভাঙনের শিকার হত না।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, নদীভাঙনে দেশের মানচিত্র থেকে এই এলাকা হারিয়ে যাচ্ছিল। ২০১৮ সালেই কেদারপুরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। সেই সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই জনপদের সন্তান তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্রসহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে উপমন্ত্রী নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এখন আর কোনো মানুষকে নদী ভাঙনে চোখের পানি ফেলতে দেখা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাঙন কবলিত এলাকার সেই আশ্রয়হীনদের গৃহায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আশ্রয় দিয়েছেন। নড়িয়ার পদ্মাপাড় এখন পর্যটন কেন্দ্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।