পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় খান রোকনুজ্জামানকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। জামায়াতের সাবেক এমপি খালেক মণ্ডলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার।
মামলাটি ২০১৫ সালের। পরে ২০১৮ সালের ৫ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। চার আসামির মধ্যে আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খান নামের দুই আসামি বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতক্ষীরা এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতনের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি অভিযোগ আনা হয় আবদুল খালেকসহ আসামিদের বিরুদ্ধে।
মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে ২ বার নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি সাতক্ষীরা সদরের বৈকারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কর্মজীবনে তিনি সাতক্ষীরা আগরদাড়ী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
রায় ঘোষণার পর জামায়াত নেতা আবদুল খালেক মণ্ডলের পক্ষে অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডল একজন জনপ্রিয় নেতা। তার বিরুদ্ধে দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।