পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভরসায় চলেন, জনগণের শক্তিকে নিজের শক্তি মনে করেন। জনগণের শক্তিতেই তিনি রাজনীতি করেন। নির্বাচন এলে জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যেতে অনেকেই অনেক কৌশল অবলম্বন করে। কিন্তু শেখ হাসিনা জনগণের আস্থায় রাজনীতি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর দামপাড়ায় পুলিশ লাইন্সে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চট্টগ্রাম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ২৮ মার্চ বামজোটের ডাকা হরতালে বিএনপির সমর্থনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, হরতাল-ধর্মঘট এসব রাজনৈতিক চর্চা। রাজনৈতিক দলগুলো এসব কর্মসূচি দিতে পারে। আমাদের কথা হলো, ২৮ তারিখের হরতালে কেউ যদি রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ভাঙচুর করে, ধ্বংসাত্মক কিছু করে, তাহলে অবশ্যই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ভূমিকা রাখবেন। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলো সহনশীলতার পরিচয় দেবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হরতাল ডেকেছে। এটা শুধু বাংলাদেশে বাড়েনি। সারাবিশ্বেই বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবহন ব্যয় তিনগুণ হয়ে গেছে। আমাদের দেশ তেল আমদানি করে, অনেক কিছুই আমদানি নির্ভর। কাজেই আমদানির ক্ষেত্রে দাম যে অস্বাভাবিক বেড়েছে তার প্রভাব কিছুটা দেশের বাজারে পড়েছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ভ্যাট ও ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছেন। পিঁয়াজ ও তেলের দাম এখন নিম্নমুখী। আমাদের প্রচেষ্টার কোনও কমতি নেই, তারপরও যদি কেউ হরতাল ডাকে, আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের আবেদন থাকবে, যারা হরতাল ডেকেছেন তারা যেন ধ্বংসাত্মক কোনও কাজ না করেন এবং জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি না করেন।
তার আগে ফিতা কেটে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চট্টগ্রামের উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। এ সময় সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ, মো. শামসুল আলম, সানা শামিনুর রহমান, উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফর, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ছয় হাজার বর্গফুট আয়তনের এই জাদুঘরের একটি অংশজুড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। সেখানে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের চট্টগ্রামের অংশটির পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন স্মারক, ডকুমেন্ট স্থান পেয়েছে। এছাড়াও জাদুঘরে সংগৃহীত হয়েছে তৎকালীন পুলিশ সদস্যদের ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র ও পোশাক, শহীদ পুলিশ সুপার এম শামসুল হকের স্মারক হিসেবে ব্যবহৃত র্যাংক ব্যাজসহ টিউনিক সেট, স্টিক, ক্যামেরা, কলম, বেল্ট, পোশাক, ক্যাপ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আরআই আকরাম হোসেনের স্মারক হিসেবে তার ব্যবহৃত রেডিও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।