পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জলবায়ুর পরিবর্তন। উপকূলীয় অঞ্চলে শস্য আবাদে আরো ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এজন্য বাংলাদেশে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষনায় সহযোগিতা আরো প্রসারিত করবে দেশটি। বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫ কোটি ডলারের কার্যক্রম করছে ইউএসডিএ।
গতকাল ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইউএসডিএর বাংলাদেশ মিশন প্রধান মেগান এম ফ্র্যানসিক এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের কৃষিতে সহযোগিতা, বিনিয়োগ এবং পটভূমি জানানোর জন্য রাজধানীর আমেরিকান সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কৃষি সহায়তা (এফএএস) বিভাগ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) ১৫ জন সদস্য এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে বিএজেএফ সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার উপ নগর সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন, সহ-সভাপতি ইয়াসির ওয়ার্দাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ আল-মাসুম মোল্লা এবং ঢাকা ট্রিবিউনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান দন্দ্ব খাদ্য নিরাপত্তায় আরো সঙ্কট তৈরি করবে জানিয়ে মেগান এম ফ্র্যানসিক বলেন, ইতিমধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনের দিনে সাপ্লাই চেইন আরো বাধাগ্রস্থ হতে পারে। বিশেষ কৃষি উপকরন বিপনন বাধাগ্রস্থ হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র কোনভাবেই খাদ্য ও কৃষির পণ্যের ওপর বাধা আসুন এটা চায় না। শক্তিশালী জি-৭ এর সদস্যবূক্ত দেশ হিসেবে প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, কৃষি পন্যের ওপর যেন কোন দেশই নিষেধাজ্ঞা না দেয়।
বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে সামনের দিনে ইউএসডিএ কি করবে এমন প্রশ্নের জবাবে মেগান এম ফ্র্যানসিক বলেন, কৃষির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিপনন বা সাপ্লাই চেইনের উন্নতি করা। সেটি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এছাড়া কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ এবং আরো সঠিক তথ্য সরবরাহ বাড়ানোয় নজর দিচ্ছে ইউএসডিএ। এছাড়া কৃষির উন্নয়ন সরকারী ও বেসরকারী অংশীদারিত্ব বাড়াতে কাজ করা হবে। বিশেষ করে কৃষির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ানো, কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া ও দক্ষ করে তোলায় কার্যক্রম গ্রহন করা হবে। এছাড়া দেশের কৃষি বিজ্ঞানি ও বিশেষজ্ঞদের যুক্তরাষ্ট্র সরকার উচ্চতর শিক্ষা গ্রহনের জন্য ফেলোশিপ কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করছে। ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশী স্কুল শিক্ষার্থিদের জন্য ১২ কোটি ডলারের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালান করে আসছে। বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের বাণিজ্য সহজীকরন করতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তৈরি পোশাক খাতের জন্য সুতার একটি বড় অংশ আমদানি করা হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সেটিও সামনের দিনে সরবরাহ করবে। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা ও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।