পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান বলেছেন, নতুন প্রজন্ম জয় বাংলা স্লোগান ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতে পারলে, দেশের উন্নয়নের পথে কেউ বাধা হতে পারবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটানা ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) রাতে নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে আয়োজিত ‘‘জয় বাংলা উৎসব’’ও গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার দোহার উপজেলার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেও জয় বাংলা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিলো। সর্বস্তরের জনগণ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দপীনাসহ অনুষ্ঠান দুটিতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে আবারো সবাইকে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। দোহার-নবাবগঞ্জকে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মডেল উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে এবং তা খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।
জয় বাংলা' কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ মহান জাতীয় সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করেন দোহার-নবাবগঞ্জবাসীর প্রিয় নেতা সালমান এফ রহমান। এরপরই চলতি বছরের ২ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানায়। আর সেই প্রস্তাবক ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানকে সম্মানিত করতে এবং জয় বাংলার জাতীয় স্লোগানের স্বীকৃতি উৎযাপনে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠান।
সালমান এফ রহমান তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, জয় বাংলা স্লোগান ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মনে ধারণ করতে না পারলে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাকেই ঢাকা-১ আসনে নৌকা প্রতীক দেবেন তাকেই জয়ী করতে দোহারবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান স্থানীয় এই সংসদ সদস্য।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭৫ পরবর্তী এদেশের মানুষ ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করতে পারত না, তা বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আজ এই ভাষণ এবং জয় বাংলা স্লোগানের স্বীকৃতিই দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেশ স্বাধীন হওয়ার মূল ভিত্তি বলেও মনে করেন সালমান এফ রহমান, এমপি।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সংরক্ষণে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক চিফ ক্যামেরাপারসন আমজাদ আলী খন্দকারকে বিশেষ সম্মাননা জানান সালমান এফ রহমান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ জয় বাংলা বলে শেষ করেছিলেন। আমরা জয় বাংলা স্লোগানের ওপর ছাত্র আন্দোলন করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী জোর গলায় এ স্লোগান বললে পাকিস্তানি বাহিনীর বুক কাঁপতো। আর বলতো ‘মুক্তি আগেয়া’ ‘মুক্তি আগেয়া’। আমি বুঝি না, জয় বাংলা দলীয় স্লোগান কী করে হলো। জয় বাংলা স্লোগানের ওপর আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। জয় বাংলা আমাদের দেশের স্লোগান।”
পরে দেশের সুনামধন্য তারকা শিল্পীদের নিয়ে জয় বাংলা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এসময় নৃত্য পরিবেশন করেন বিদ্যা সিনহা মিম, তমা মির্জা, নায়ক ফেরদৌস ও নায়িকা পূর্ণিমা। এর পরপরই মঞ্চে আসেন এ সময়ের অন্যতম তারকা শিল্পী মমতাজ। প্রায় এক ঘণ্টা মমতাজের গানে মুগ্ধ দর্শকদের আরো আনন্দ দিতে সব শেষে গান পরিবেশন করেন নগরবাউল জেমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।