পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সময়ের বাংলাদেশে সমালোচিত কোনো কুরিয়ার সার্ভিস থাকলে সবার আগে নাম আসে এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের। গ্রাহক হয়রানিতো আছেই তার পাশাপাশি রয়েছে কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ তার চার সহযোগী মিলে চাকুরী দেওয়ার নামে অভিনব কায়দায় প্রতারনা ফাঁদ। লোভনীয় সব অপারে গ্রাম থেকে উঠে আসা সাধারন পরিবারে ছেলেদের চাকুরী দেওয়া হয়।চাকুরী মেয়াদ এক সপ্তাহ না যেতে তাদের উচ্চ মর্যাদা আরো বাড়তি বেতন দেওয়া হবে বলে দেয় মিথ্যা আশ্বাস। এই বলে নেওয়া হয়, তিনটি সাইন সহ খালি ব্যাংক চেকের পৃষ্ঠা ও ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প তিন সেট যা দাঁড়ায় ১০০/ টাকার নয় টি নন-জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্প এমন টাই জানিয়েছেন সদ্য চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া মনির হোসেন। তিনি বলেন, আমি সব কিছু বুঝিয়ে দেওয়ার দুই মাস পার হলে ও আমাকে এখন দেওয়া হয়নি আমার ফেরত যোগ্য চেক ও স্ট্যাম্প যাহা নিয়ে বর্তমানে আমি প্রতিনিয়ত ভয়ের মধ্যে আছি। অন্যদিকে সাভার বাইপাইল দায়িত্বরত আব্দুর রশিদ, চাকুরী থেকে লিখিত অব্যাহতির ৪ মাস ফের হলেও এখন মেলেনি তার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের তিনটি চেক ও দুই সেট সাইন করা ছয়টি নন-জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্প। এরই মধ্য তার কাছে উকিল নোটিস ও চলে আসছে যাহা নিয়ে তিনি প্রতিনিয়ত হতাশায় ভুগছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিস সহকারী বলেন, আমি চাকুরী করি ৮ হাজার টাকা বেতনের আমার কাছ থেকে ও নেওয়া হয়েছে তিনটি সাইন করা ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ফাঁকা সাদা কাগজে সই। পল্টন বিজয় নগরের অফিস ম্যানেজার এর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে তিনটি ব্যাংকের সাইন সহ খালি পাতার চেক ও পাঁচ টি সাইন করা স্ট্যাম্প ও একই অফিসের সহকারী ম্যানেজার কবির হোসেন সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে চাকুরী করলে ও লোভনীয় অপারে চলে আসেন এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসে বেতন যাই দেওয়া হোক না কেনো তার কাছ থেকে ও নেওয়া হয়েছে তিনটি খালি চেকের পাতা ও তিনটি স্ট্যাম্প।
বেশ কিছু দিন আগে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের হেড ও অব মার্কেটিং সাইদুর রহমান বলেন, আমি সব কিছু বুজিয়ে দিয়ে আসছি আসার সময় আমায় ফুল দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা ও দেওয়া হয়েছে কিন্তু কিছুদিন না যেতে আমার নামে প্রতারনা করছি মর্মে উকিল নোটিস পাঠায় যাহা দেখে আমি রীতি মত অবাক হয়ে গেলাম এক কথা আকাশ থেকে পড়লাম,তৎকালীন মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমার এলাকার হওয়ার আমি বিষয় টি তার সাথে শেয়ার করি পরবর্তিতে তিনি তাকে ধমক দিয়ে আমার চেক নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। যাতে করে আমি কর্ম জীবনে বড় মাপের একটা ধাক্কা খেয়েছি।
ফেনীর মো. মফিজ উদ্দিন অফিস সহকারীর চাকুরী হিসেবে চাকুরীতে যোগদানের কিছু দিন যেতে না যেতে উক্ত রিয়াদের সহযোগী শিমুল বলেন, শুনলাম তোমার ভাই-বোনদের অনেক টাকা পয়সা একটি কাজ করো তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা নিয়ে আসো সবাই মিলে আমরা একটি গাড়ি কিনবো প্রতি মাসে যা লাভ হয় তার সমান ভাগ নিয়ে যাবে মিথ্যা আশ্বাস দেয় শিমুল।মফিজ তার প্রতারনার ফাঁদ বুজতে না পারেনি নিজ ভাই বোন থেকে আকুতি মিনতি করে সাত লক্ষ টাকা আনেন মফিজ উদ্দিন তুলেদেন শিমুলের কাছে। গাড়ি ও কেনা হয় তাদের তিনজনের নামে। কয়দিন যেতে না শুরু হয় শিমুলের প্রতারনার ফাঁদ মফিজ কিছু বুঝে উঠার আগে গাড়িটি নিজের নামে করার আপ্রান চেষ্টা চালায় শিমুল ও তার সহযোগীরা এ পযার্য়ে মফিজকে বেধে বেদড় মারদর করে ফাঁকা স্ট্যাম্প ও খালি চেকে সাক্ষর বসিয়ে ও মফিজের নামে পুরো গাড়ি টি লিখে দিবে বলে জোর পূর্বক মফিজের বড় ভাই সাহবুদ্দিন কে সুকৌশলে ফোন করে আনা হয় আরো নগদ দুই লক্ষ টাকা তখন ও মফিজ যে তাদের কাছে আটক ছিলো তার বড় ভাইকে বুঝতে পারেনি। এরই মধ্যে মফিজ থেকে নেওয়া হয়ছে সাইন করা ফাঁকা চেকের পাতা ৫টি ও স্ট্যাম্প ৬ টি। পরবর্তিতে নিজে গাড়ি দাবী করে শিমুল মফিজ নামে গাড়ি চুরির মিথ্যা মামলা দেয়। যাতে করে মফিজ দিশেহারা হয়ে পড়েন। কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মফিজ আবার মোহাম্মদপুর থানায় এসে জিডি করেন জিডি মূলে তদন্ত শুরু হয় তদন্ত শেষে পাওয়া যায় উক্ত গাড়িটি রানার্স মটর থেকে কিস্তিতে কেনা পুরো গাড়ির সাত লক্ষ টাকা মফিজের দেওয়া তাই রানার্স মটর তার নামে গাড়িটির ভাউচার করেছেন একক মালিক ও দিয়েছেন মফিজ যাহা বিজ্ঞ ম্যাজিট্টেড রায় দিয়েছেন।
এরপর পরপর মফিজের নামে ভাংচুর লুটপাত এর একটা মামলা করেন,তার থেকে জোরপূর্বক রাখা ৫টি খালি পাতার চেক ব্যাংক ডিজনার করে ১০ লক্ষ টাকা করে মোট দুই চেকে ২০ লক্ষ টাকার মামলা দেন রিয়াদের সহযোগী জিয়া উদ্দিন শিমুল। বর্তমানে মফিজ (২২) চার মামলার আসামী। যশোরের ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন ঢাকায় কিছুদিন কাজ করার পর তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় রংপুরে। যেহেতু চাকুরীতে নিয়োগের সময় দিয়ে আসছেন তার সাইন করা পূবালী ব্যাংকে চেক এর খালি পাতা দুইটি ও সাইন করা খালি স্ট্যাম্প ছয়টি, চাকুরী করবে না জানালে সে লিখিত অব্যহতি পেপার জমা দিয়ে আসেন, কিছু দিন যেতে না যেতে তার বিরুদ্ধে দেওয়া হয় ১৬ লক্ষ টাকার নগদ অর্থ আত্নসার্থ মামলা যার জন্য তিনি ৪৫ দিনের ও বেশী জেল খেটেছেন।জেল থেকে বের হয়ে তার বিরুদ্ধে আবারও দেখেন উক্ত জানামত বাবদ রেখে যাওয়া দুইটি পূবালী ব্যাংকের খালি চেকের পৃষ্ঠা দিয়ে আবার করা হয় ১৬ লক্ষ টাকার মামলা।
শুধু তাই নয় সারা দেশে যেসকল অফিস ভাড়া নিয়েছে সবগুলো অফিস ভাড়ার চুক্তির দুইটা করেছেন একটা অরজিনাল একটা ভুয়া। ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার জন্য ভূয়া চুক্তিপত্র করেছেন তিনি যাতে করে তাকে কেউ সন্দেহ না করে। সরকারকে প্রতিনিয়ত ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছেন এই রিয়াদ। হাজারীবাগ অফিসের বর্তমান ভাড়া ৭ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু ভূয়া কাগজ করে দেখাচ্ছে মাত্র ৬০ হাজার টাকা।
রিয়াদের আপন ভাগিনার কাছে তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিয়াদ মামা আমাদের বাড়িতে থেকে বড় হয়েছে আমি নিজেই চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে চাইলে আমাকে ও মামলার ভয় দেখিয়েছেন তিনি। আমার মায়ের বকাবকি শুনে আমায় আর মামলা দেয়নি তিনি।
রিয়াদের চাকুরীচ্যুত আপন ভাতিজা কাছে তার ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে চাচা বলতে ও ঘৃনা লাগে তিনি আমাকে ও চুরির অপবাদ দিয়ে চাকুরীচ্যুত করেন। মূলত সামসুদ্দিন রিয়াদ গ্রাম থেকে ২০১০ সালে ভাগিনার সাথে চুরি করে বাড়ি থেকে খালী হাতে পালিয়ে চট্টগ্রাম চলে আসেন। দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম ভাগনীর জামাইয়ের ট্রান্সপোর্টে চাকুরী করতেন, চাকুরীতে বিভিন্ন জেলার গাড়ির ভাড়া করাই ছিলো তার দায়িত্ব। ভাগনী জামাইয়ের সাথে বনিবনা না হওয়াতে ২০১৩ সালে ঢাকায় এসে এজে আর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেন। এর কিছুদিন পর করেন এজেআর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী, এরপর করেন এজেআর পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস সর্বশেষ নিজে একাই মালিক করেন এজে আর গ্রুপ। ১৪ মার্চ ২০১৮ সালে যিনি খেয়েছেন এনবিআরের ৫ কোটি টাকার মামলা। ০২ অক্টোবর ২০২০ আবারও খেয়েছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সিল স্বাক্ষর জালিয়ার মামলা এতো কিছুর পর ও এই প্রতারনা প্রতিষ্ঠানের মালিক সামসুদ্দিন রিয়াদ কোথায় থেকে পান আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ। যিনি কিনা বর্তমানে চড়েন আপডেট মডেলের দেড় কোটি টাকা দামের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারে গাড়িতে। যা নিয়ে রীতিমতো হতবাক তার নিজ এলাকাবাসী।
হাজারো অভিযোগের তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছেন কুরিয়ার সার্ভিসের আড়ালে অবৈধ ব্যবসা যা বিভিন্ন সময় দেশের প্রথম সারির গনমাধ্যমগুলো বেশ কয়েকবার প্রকাশ করেছেন।সামসুদ্দিন রিয়াদ কুরিয়ার সার্ভিসের আড়ালে করেন প্রতারনা যা চলতি মাসের ১৫ তারিখে কিছু ভুক্তভোগী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে উল্লেখ করেন। এমন প্রতারকদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।