পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে যাতে সরকার দেশ পরিচালনা ও উন্নয়নের স্বার্থে প্রয়োজনীয় রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারবে এবং একইসাথে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনরকম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। বাজেট হবে ব্যবসা সহায়ক। কর ব্যবস্থায় তারা যেন না ঠকেন সে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ বিষয়ে আয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪২তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এ সভার আয়োজন করে। সভায় এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভাপতিত্ব করেন। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
ব্যবসায়ীদের কর সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সুবিবেচনা করা হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বাজেটের জন্য ব্যবসায়ীরা যেসব মতামত দিয়েছেন, বিশেষ করে কর সংক্রান্ত মতামতগুলো অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখা হবে। তবে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, উইন-উইন অবস্থ। আপনারা ব্যবসায়ীরা হারবেন না। এমন কর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে আপনারাও জিতবেন, সরকারও জিতবে।’
ব্যবসায়ীদের কর প্রদানের আহবান জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আপনাদেরকে কর দিতে হবে, আপনারা যদি কর না দেন, তাহলে পদ্মা সেতু বা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না। আপনাদেরকে দেশ ও নিজের স্বার্থে কর দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে এখন উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে। দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। দেশের এই উন্নয়ন ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও দেশবাসীর সহযোগিতার কারনে।
অর্থমন্ত্রী জানান, গত ১৩ বছরে দেশে রাজস্ব আয় বেড়েছে ৮ গুণ। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে এনবিআরে রাজস্ব আয় দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা। আর এক যুগের ব্যবধানে কর-জিডিপির অনুপাত ৯ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আয় বাড়লেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে বিবেচনা করলে দেখা যাবে- সেই তুলনায় রাজস্ব আহরণে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। এর জন্য আপনাদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি-বাংলাদেশের রাজস্ব নীতি সারাবিশ্বে সমাদৃত হবে। আমরা সরাসরি করের প্রতি গুরুত্ব বাড়িয়েছি। যারা বেশি আয় করবেন, তারা তত বেশি কর দেবেন। এই নীতি আমরা অনুসরণ করি। এতে আমরা সফলতা পাচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।