Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাল শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২২, ১:৫৭ পিএম | আপডেট : ৩:৪৫ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২২

পটুয়াখালীতে দেশের বৃহৎ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আগামীকাল সোমবার। এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন তিনি দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণাও দেবেন। এটি ঘিরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি ‘হাব’ গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানায় যৌথভাবে রয়েছে বাংলাদেশ ও চায়না পাওয়ার কম্পানি (বিসিপিসিএল)। বাংলাদেশের নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি (এনডাব্লিউপিজিসিএল) ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান অংশীদারে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
পায়রায় বিসিপিসিএল এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি করে ইউনিট রয়েছে। ২০২০ সালের জুন নাগাদ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসে। একই বছরের আগস্টে উৎপাদনে আসে দ্বিতীয় ইউনিট। তবে সঞ্চালন লাইন তৈরি না হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পুরো সক্ষমতাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে বিসিপিসিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, ‘পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকাল ১১টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরই প্রধানমন্ত্রী দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন। ’
সঞ্চালন লাইনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পায়রা-গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার লাইনটির পদ্মা রিভার ক্রসিং কাজ এখনো শেষ হয়নি। চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এই কাজ শেষ হবে। এর পরই রাজধানীতে সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। এরই মধ্যে গোপালগঞ্জ- রামপাল গ্রিড লাইন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। রামপালে নির্মিত সাবস্টেশনের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খুলনা অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের দু-তিন দিন পর থেকে ওই লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। ’
তিনি জানান, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ করতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। নির্মাণ ব্যয়ের বেশির ভাগ অর্থায়ন করেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষ করায় প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এক হাজার একর জমির ওপর নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য কয়লা আমদানি করা হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া থেকে।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার আরো একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে বিসিপিসিএল। এই কেন্দ্রের নির্মাণকাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশের সর্ববৃহৎ ও দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহৎ আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিশ্বের ১০তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এটি নির্মাণ করেছে। করোনাকালে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্বোধন করবেন। ’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছিল দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এ ধরনের একটি অবকাঠামো নির্মাণ করা গেলে ওই অঞ্চলের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। এর আগে দক্ষিণাঞ্চল অবহেলিত ছিল। কেন্দ্রটি নির্মাণ করায় ওই অঞ্চলের পুরো চিত্র পাল্টে গেছে। শহরের সুবিধাগুলো পৌঁছে গেছে গ্রামে। ’
সঞ্চালন লাইন নির্মাণ অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সঞ্চালন লাইন নির্মাণ একটু দুরূহ হয়ে পড়েছে। লাইন নির্মাণে জমির অভাব, নদী ক্রসিং, মামলা-মোকদ্দমা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তার পরও করোনার মধ্যে আমাদের কাজ এগিয়ে গেছে। আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হলে পায়রা পূর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারবে। ’
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সরকার এক দশক আগে বেশ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় ২০১৪ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি সই হয়। পরে গঠিত হয় বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড। যৌথ উদ্যোগের এই কম্পানির ব্যবস্থাপনায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পায় চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এনইপিসি ও সিইসিসি কনসোর্টিয়াম। এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালাতে প্রতিদিন ১২ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে। ১০ বছরের চুক্তির আওতায় ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করা হবে।



 

Show all comments
  • আলহাজ্ব ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২০ মার্চ, ২০২২, ৪:০৮ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের বিষ্ময়কর উন্নয়ন অগ্রগতি পৃথিবীর মাঝেই দেশ একটি আত্মমর্যাদাশীল সম্মানজনক জাতির পরিচিতির জননী বিশ্ব মানবতার মা। আগামীকাল বাংলাদেশ কে শতভাগ বিদুৎ ঘোষণা দিবেন। বাংলাদেশের জন্যে অত্যন্ত গৌরবময় দিন।এটি সম্ভব দীর্ঘদিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় থাকারকারণে। সাহসিকতার কারণে। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে চ‍্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশের অর্থনীতি কে শক্তিশালী করার কারণে। একটি উদাহরণ ঐ পদ্ধাসেতু। দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের কবলে পড়েই পদ্ধাসেতু কাজ বন্ধ দাতাদের সাহায্য বন্ধ বিশ্ব ব‍্যাংক আইএমএফ দাতা সংস্থাগুলো গুলো মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ছিলেন অথ‍্যাৎ পদ্ধাসেতু হবেনা। বাংলাদেশের মানুষের ধারণা পদ্ধাসেতু কখনো পদ্ধাসেতু হবেনা। হওয়ার মত অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশের নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর তেজুদিপ্ত রক্ত রক্তের স্রোতধারা বজ্রকন্ট আওয়াজ দাতাদের সাথে চ‍্যালেঞ্জ পদ্ধাসেতু বাংলাদেশের অর্থদিয়ে হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন নেতৃত্ব সততার গুন বাংলাদেশের মাঝে পদ্ধা দৃশ্যমান। জীবন্ত দৃশ্যমান পদ্ধাসেতুতে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর স্নেহভাজন গাড়ি পায়ে পরিদর্শনে শিরোনাম। শতাব্দীর পর শতাব্দী অপেক্ষা করে ভাগ‍্যবান জাতি এই রকম নেতা পেয়ে জাতির উন্নয়ন হয় অগ্রগতি হয়। আমরা সুভাগ‍্যবান জাতি। ভিশন পরিকল্পনা মহাপরিকল্পনা ভীষণ ৪১ বাংলাদেশের উন্নতি অগ্রগতির জন্যে বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার দিনরাত পরিশ্রম বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী ইতিমধ্যে হয়েছে। ডিজিটাল দেশ আকাশ বিজয়। একলক্ষ বিশ হাজার বর্গকিলোমিটির সাগর বিজয়। ব্লুইকোনিমির মাধ্যমে বিশালাকার সমগ্র সম্পদ দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবেে। মেগা প্রকল্প অর্থনৈতিক জোন দেশ ও বিদেশের সহযোগিতায় রুপপুর পারমানবিক প্রকল্প। মেট্রো রেল শহর বন্দরে বাংলাদেশেরদৃশ্য পরিবর্তনের ক‍্যারিশম‍্যাটিক লিডারশিপের একমাত্র নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর। ঐক্যবদ্ধ জাতি হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাবে দেশের তৃণমূল থেকে শহর পযর্ন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্যেদলমত নির্বিশেষে দোয়া করা উচিৎ। এই মহান নেতা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে শতভাগ নিশ্চিত শান্তিতে নোবেলজয়ী হত পারেননি। আমার হাজারো ক্ষুদ্র মতামতের গুরুত্বপূর্ণ কলামে দায়িত্বশীল যুক্তি তথ‍্য উপাপ্ত দিয়ে লিখেছি। বাংলাদেশের দশ ভাগের এক পার্বত্য চট্টগ্রামের রক্তাক্ত যুদ্ধ শারীবদ্ধ লাশের শিরোনাম প্রতিদিন ইলেকট্রিক প্রিন্ট মিডিয়া আন্তর্জাতিক বিশ্বের মাঝেই ছিল। শান্তির পায়রা উড়িয়ে শান্তি প্রতিষ্টাকারী বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা এটি শতভাগ নোবেলজয়ী কাজ। মায়ানমার গনহত‍্যা আগুনের লেলিহান শিখা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর কিয়ামতের যন্ত্রণা। লক্ষ লক্ষ অসহায় ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধার কাফেলা বাংলাদেশের মাঠিতে সমগ্র পৃথিবীর মানুষের চুখের সামনে জঘন্যতম বর্বরতা রোহিঙ্গাদের উপর। কঠিন সময়ের মাঝে মানবতার দিশারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা বাংলাদেশে প্রযোজনে একবেলা খাব। এই লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন মৃত্যু মাঝখানে ছিল। হাজারো লক্ষ মানুষের জীবন বাচানোর জন্যে নরওয়ের নোবেল কমিটিশান্তিতে শতভাগনিশ্চিত নোবেলপ্রাইজ থেকে বাংলাদেশ কে বঞ্চিত করলো। সুদের ব‍্যবসায় নোবেল প্রাইজ ডুকলো কিভাবে???। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে আলোকিত হয়ে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। ঋণ দাতার দেশের কাতারে যাবেন। অর্থনৈতিক পরাশক্তি হবে। একটি কথা মতামতের কলামের পাঠক দের জানিয়ে দিচ্ছি আমি সম্পুন‍্য নিঃস্বার্থ নির্লোভ ভাবে বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার পক্ষ সত্যিকার অর্থে লিখার চেষ্টা করি। মতামতের কলম অবশ‍্যই জ্ঞানীদের স্থান। মতামত দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই পত্রিকার সাংবাদিক কলা কৌশলীদের শ্রদ্ধা ও সালাম। দেশের শতভাগ আলোকিত বিদুৎ ঘোষণা দিন আগামীকাল। এভাবেই একের পর এক বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির শিরোনাম হবে। ইনশাআল্লাহ। আপনার সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি মহান আল্লাহর পবিত্র দরবারে। আমিন। আমিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ