পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোজ্যতেল নিয়ে মিলার, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের তেলেসমাতি বন্ধ হয়নি। পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ শতাংশ ভ্যাট কমালেও বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রবাড়ি, নিউ মার্কেট, আরামবাগ, কাপ্তানবাজার, কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতলের দাম নামমাত্র কমানো হয়েছে। কিন্তু এক লিটারের বোতলের দাম কমেনি। যাত্রাবাড়ির এলাকজার তেল কিনতে এসেছেন সোলেমান হোসেন। তিনি বলেন, এক লিটার তেলের বোতলের দাম কমেনি। এখনও বাজারে তা ১৬৮ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে। তবে ৫ লিটারের বোতলের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আগে ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হতো ৮৩৫ টাকা। এ মূল্য কমে বিক্রি হচ্ছিল ৫ লিটার ৮০০ টাকা। সরকার ভোজ্যতেলে আমদানি শুল্ক কমানোর পরে বর্তমানে বাজারে ভোজ্যতেলের ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৭৯০ থেকে ৭৯৫ টাকায়। সোলেমান বলেন, শুধু শুল্ক কমালেই হবে না। বাজার মনিটরিং করতে হবে। না হলে আবারও বেড়ে যাবে ভোজ্যতেলের দাম। ক্যাপ্তান বাজারের বাজারের তেল বিক্রেতা মো. জাবেদ হোসেন বলেন, সরকার ভোজ্যতেলের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমালেও আহামরি দাম কমেনি। এক লিটার তেলের বোতল এখনও বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। শুধু ৫ লিটার তেলের বোতলে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম কমেছে। তিনি আরও বলেন, আমি বেশি দামে তেল কিনেছি। এ কারণেই আগের দামেই তেলগুলো বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন দামে তেল কেনার পরে আমি কম দামে তেল বিক্রি করতে পারবো। আমি তো ক্ষতি করে কম দামে তেল বিক্রি করতে পারবো না।
যাত্রাবাড়ির ক্রেতা গৃহিনী রাহেলা মাহবুব বলেন, শুনেছি সরকার তেলের দাম কমানোর জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু আজকে বাজারে এসে দেখলাম এক লিটারের তেলের বোতলের দাম এখনও কমেনি। এক লিটারের বোতল কিনেছি ১৬৮ টাকায়। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবার বাজারে সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে। মধ্যবিত্তদের যদি এ রকম অবস্থা হয় তাহলে বোঝেন নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের কী অবস্থায় দিন যাচ্ছে? বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত বসে শুধু খুচরা ব্যবসায়ীদের জরিমানা করছে। যারা লাখ লাখ লিটার ভোজ্যতেল গুদামজাত করে রেখেছেন তাদের ধারের কাছে যেতে পারে না ভ্রাম্যমান আদালত।
গোবিন্দগঞ্জ বাজারের তেল বিক্রেতা কমল হোসেন বলেন, এখনও এক লিটারের তেলের বোতলের দাম কমেনি, আগের দামেই বিক্রি করছি। শুধুমাত্র ৫ লিটারের বোতল একটু দাম কমেছে। বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে ৫ লিটারের বোতল বিক্রি করছি ৭৯০ থেকে ৭৯৫ টাকায়। পুরোপুরি দাম কমতে শুরু করলে তখন আবার কম দামে তেল বিক্রি করতে করবো।
শনির আখড়ায় ঠেলাগাড়ি চালক মো: শহিদুল ইসলাম। প্রতিদিন রোজগার করেন ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এ টাকা দিয়ে চলতে হয় তার পরিবারের। তিন সন্তান ও স্বামী-স্ত্রীর পরিবার। থাকেন কদমতলীর এলাকার মোহাম্মদবাগ বস্তিতে। কোনোদিন কাজ না করতে পারলে বা না পেলে ধারদেনা করে চলতে হয়। কখনো না খেয়ে থাকতে হয়। শহিদুল বলেন, বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার করে এসেছি বাজার করতে। বাজারে এলে অন্তত দুদিনের বাজার একসঙ্গে করে থাকি। বাজারে এসে দেখি তেলের দাম অনেক বেশি। এখনও দাম কমেনি। তেল কিনতে গেলে অন্য পণ্য কিনতে পারবো না। তাই দাম কম দিয়ে টিসিবির গাড়ি থেকেই তেল কিনতে হবে।
কুতুবপুর মেসে থাকেন শরিফুল হক। কয়েকজন বন্ধু মিলে থাকেন। আগে প্রতিদিন ১০ টাকার ভোজ্যতেল কিনতেন। এখন দোকানি ১০ টাকার তেল দেয় না। বললেন, এখন ২০ টাকার তেল কিনতে হয়। তেলেই আমাদের সংসারে শতকরা একশ ভাগ খরচ বেড়ে গেছে। অন্যান্য খবর মিলে সংসারের হিসেব মেলান!
এর আগে পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম অয়েল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। গত ১৬ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক) থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ের ১৫ শতাংশ ও ভোক্তা পর্যায়ের ৫ শতাংশ ভ্যাটও প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু ভোক্তারা কোনো সুবিধাই পাচ্ছেন না। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।