পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের মৃত্যু ও সংক্রমণ কমিয়ে আনা এবং টিাকা কার্যক্রমে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। গত তিন দিন ধরে করোনায় মৃত্যু শুণ্য। নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের সংখ্যা ২৩৩ এবং শনাক্তের হার মাত্র এক দশমিক ৬৯ শতাংশ। দেশের মানুষকে টিাকার আওতায় আনার ক্ষেত্রেও সাফল্য দেখিয়েছে দেশ। গণটিকা কার্যক্রম, সারাদেশের তৃর্ণমূল পর্যায়ে ক্যাম্পেইন করে টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। টিকা কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। এমনকি ১৮ বছর বয়সীদের বুষ্টার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি ডোজ করোনা টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ টিকা কিনতে ও টিকা কার্যক্রম চালাতে মোট ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর আগে একদিনেই ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। যাদের এই প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে আগামী ২৮ মার্চ তাদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হবে। শুধু তাই নয় ‘১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন’ উপলক্ষে বুস্টার ডোজের দুই দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইন করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত টিকা প্রয়োগের বিশেষ কার্যক্রমের সোয়া ৩ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে টিকার আওতায় চলে আসবে দেশের মোট জনংখ্যার ৭৫ শতাংশ মানুষ।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এ পর্যন্ত ১২ কোটির বেশি মানুষ প্রথম ডোজ, ৯ কোটি ৪ লাখ দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। সব মিলেয়ে ২২ কোটির বেশি হয়েছে। এই সোয়া তিন কোটি ডোজ দেয়া হলে ২৫ কোটি ক্রস করবে। তাহলে জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যা হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়ে যাবে। তিনি বলেন, যারা টিকা নেবে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এতদিন দ্বিতীয় ডোজের ৬ মাস পর বুস্টার ডোজ দেয়া হতো। কিন্তু এখন থেকে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর যাদের ৪ মাস হয়ে গেছে তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। বুস্টার ডোজের জন্য আগের নিয়মেই মোবাইলে এসএমএস যাবে। কেউ যদি এসএমএস নাও পায় তাহলে সে আসলেও টিকা দেয়া হবে। সকলকে টিকা দেয়া হবে। ক্যাম্পে টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত কেউ যাতে টিকা নিতে আসা ব্যাক্তিদের ফিরিয়ে না দেন সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি। অতপর টিকা নিবন্ধনের জন্য অনলাইন ‘সুরক্ষা’ প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া হয়। ওই বছরের ৭ ফেব্রæয়ারি দেশব্যাপী কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে ওই বছরের ২০ জানুয়ারি ভারত থেকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিডশিল্ড ঢাকায় পৌঁছায়। ২১ জানুয়ারি দেশে আসে বেক্সিমকোর কেনা তিন কোটি টিকার প্রথম ৫০ লাখ ডোজ। তবে ৬০ লাখ প্রথম মাসে, দ্বিতীয় মাসে ৫০ লাখ, তৃতীয় মাসে আবার ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা থাকলেও ভারতের মোদী সরকার বাংলাদেশে আসা টিকার চালান বন্ধ করে দেন। এরপর সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা নেয়ার প্রচেষ্টা শুরু করে। চীন এসে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে টিকা দেয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই বিপুল পরিমান টিকা উপহার দেয়।
টিকা কার্যক্রম, মৃত্যু এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশকে পিছনে ফেলেছে। অনেক প্রভাবশালী দেশে এখনো প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে মৃত্যের সংখ্যা শুণ্যে নেমে এসেছে। এমনকি যখন করোনাভাইরাসের নানান ভ্যারিয়েন্টে মহামারি পর্যায়ে চলে যায়; তখনো বাংলাদেশে মৃত্যু দুই সংখ্যার ঘরে ছিল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে মৃত্যুর হার শুণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে। টিকা দিতে পেরেছি বিধায় দেশে স্কুল কলেজ খুলেছে। স্কুলের ছেলে মেয়েকে আমরা দেড় কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। টিকা দেয়ার কারণে মৃত্যু হার কমায় দেশের অর্থনীতিও সচল রয়েছে। এখন ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমরা টিকা দেয়ার বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ দেয়া হবে। এরমধ্যে দুই কোটি ডোজ দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে। বাকীটা প্রথম এবং বুস্টার ডোজ হিসেবে দেয়া হবে।
দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় করোনাভাইরাস ভয়াল থাবা বসাতে পারেনি। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।