পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের জন্য আমরা একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে যেতে চাই। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এ মর্যাদা ধরে রেখেই আগামী দিনের বাংলাদেশকে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো এটাই আমাদের অঙ্গিকার। আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের কর্ণধার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের টুঙ্গিপাড়া হৃদয়ে পিতৃভূমি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে, সুন্দর জীবন পাবে। তাই জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর শিশুদের উন্নয়নের জন্য বহু প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণসহ আমরা নানা ব্যবস্থা নেই। ২০০৮ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে শিশুদের সুরক্ষার জন্য জাতীয় শিশু শ্রম নীতি ২০২১, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ সুরক্ষা আইন ২০১০, জাতীয় শিশু নীতি ২০১১, মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশুখাদ্য বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও ব্যবহার সরঞ্জামাদি বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ প্রণয়ন করি। প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন ২০১৮, বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে জাতীয় পরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ পর্যন্ত প্রণয়ন করেছি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০২০ প্রণয়ন করে নারী ও শিশুদের সার্বিক সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৭১ এ আমরা স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব এবং ২১০০ সাল পর্যন্ত এ বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনাও আমি করে দিয়ে গেছি। শিশুদের ভবিষ্যৎ যাতে উজ্জ্বল হয়, সুন্দর হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের সকল কর্ম-পরিকল্পনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন শুরু করেছিলাম ২০২০ সালে। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবছর জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে আমরা জাতীয় শিশু দিবসটি উদযাপন করছি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দিবসের অনুষ্ঠানমালা ছাড়াও টুঙ্গিপাড়ায় ১৮ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে নানা আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগ পৃথক পৃথক দিনে তারা অনুষ্ঠান করবে। সেইসঙ্গে এই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে ২১ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে মুজিববর্ষ লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এমপি, মুহাম্মদ ফারুক খান, এমপি এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুননেসা ইন্দিরা, এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুজিববর্ষের জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।