পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, তার সরকার ৯০ শতাংশ মানুষকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের আওতায় আনার লক্ষ্যে তৃণমূল থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাংলাদেশ ভূমিকম্প দুর্যোগ প্রবণ দেশ হবার কারণে তিনি ভূগর্ভস্থ পানির ওপর থেকে চাপ কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারে উদ্যোগী হবার এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সময় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে জলাধারের ব্যবস্থা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম ওয়াসা বাস্তবায়িত শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম হোটেল রেডিসন বøæতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাণিজ্যিক নগরীই হচ্ছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। সেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলেই মনে করি। কারন চট্টগ্রাম উন্নত হলে সমগ্র বাংলাদেশই উন্নত হবে।
তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি সবকিছুতেই চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সুপেয় পানির যে সমস্যা তা সমাধানে সরকার গঠনের পর থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেস-২) এর আওতায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নির্মিত পানি শোধনাগার-২ এর উদ্বোধন হচ্ছে। এরকম আরো কয়েকটি প্রকল্পও তাঁর সরকার করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই চট্টগ্রামের পানি সমস্যা সমাধানে পানি শোধন এবং পাইপলাইনে সরবরাহের বিশেষ প্রকল্প হাতে নেয় তার সরকার। ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা ‘জাইকা’ কর্ণফুলী নদী থেকে পানি শোধন করে চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহের প্রকল্প গ্রহণ করে ও সমীক্ষা করে এবং ২০১১ সালে ‘কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেজ-১)’ এর বাস্তবায়ন শুরু হয়। কারণ, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসতে না পারায় এই প্রকল্প ব্যহত হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, এরপর ২০২০ সালে চট্টগ্রাম শহরের ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা পূরণে মদুনাঘাটে দৈনিক ৯ কোটি লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন শেখ রাসেল পানি শোধনাগার উদ্বোধন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর পশ্চিমতীরে কাফকো, সিইউএফএল, কোরিয়ান ইপিজেড, আনোয়ারাস্থ চায়না ইকোনমিক জোন, গড়ে ওঠা শিল্প এলাকাসহ আবাসিক এলাকার পানির চাহিদা মিটাতে দৈনিক ৬ কোটি লিটার সরবরাহ ক্ষমতাসম্পন্ন পানি সরবরাহ প্রকল্প চলমান রয়েছে। তার সরকার চট্টগ্রামে পয়ঃনিস্কাশনের জন্য বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর জনগণকে আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দিতে ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ণের পর তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আরও ৫টি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ করা হবে। তিনি বিশেষ করে কর্ণফ‚লী এবং হালদা ও সাঙ্গু প্রভৃতি নদীগুলো যাতে দূষণ মুক্ত থাকতে পারে সে বিষয়েও জোর দেন। এ সময় প্রত্যেকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে তার সরকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে এগুলো যেন ভালভাবে চলে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এসময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালণায় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। চট্টগ্রাম ওয়াসার উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও চিত্রও পরিবেশিত হয়।
এদিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান বহরে গ্রোব-১২০ টিপি’ প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোরে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেম ছাড়া লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব। আমি আশা করি আপনারা এই বিষয়ে সচেতন হবেন। একজন পেশাজীবির প্রধান পরিচয় তার পেশাগত দক্ষতা। মনে রাখবেন, পেশাগত দক্ষতা ও সততার কোন বিকল্প নেই। আমি আশা করি, আপনারা এ ব্যাপারে সজাগ থাকবেন এবং নিজেদেরকে সেভাবেই গড়ে তুলবেন।
তিনি বলেন, জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের বিনিময়ে সংগৃহীত এ মূল্যবান গ্রোব-১২০ টিপি প্রশিক্ষণ বিমানের উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে আপনাদের হতে হবে অত্যন্ত যতœবান। অত্যন্ত যতেœর সঙ্গে ব্যবহার করবেন যাতে কোন রকম ক্ষতি না হয়। ক্ষতি হলে সেটা দেশের জন্য বড় ক্ষতি হবে। এটা মনে রাখতে হবে কারণ, এক একটা বৈমানিকের জীবন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।