পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ষণে জন্ম নিচ্ছে শিশু। কিন্তু এই শিশুদের দায়-দায়িত্ব কে নেবে, কে-ই বা বহন করবে ব্যয়ভার ? এর নেই কোনো বিধিমালা । এ প্রেক্ষাপটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৩ (২) ধারা অনুসারে ধর্ষণজনিত জন্ম লাভকারী শিশুর ব্যয়ভার বহনের জন্য বিধি প্রণয়নের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। ধর্ষণের পর জন্ম নেয়া কুড়িগ্রামের এক শিশুর ব্যয়ভার বহনের জন্য কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না-এই মর্মেও রুল জারি করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রিটে আইন সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু রুলের বিষয়ে বলেন, ২০১০ সালে কুড়িগ্রামে এক নারীকে ধর্ষণ করেন খয়ের আলী নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় থানা মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করলে দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০২১ সালে মামলার রায় হয়। মামলা চলাকালে ধর্ষণের ফলে ওই নারীর গর্ভে এক কন্যাশিশু জন্ম হয়। তবে ওই মামলায় আদালত আসামি খয়ের আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদÐ দেন। ধর্ষণে জন্ম নেয়া ওই শিশুর যাবতীয় ভরণ-পোষণ ব্যয়ভার বহন করার নির্দেশ দেয়া হয় সরকারকে। কিন্তু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন হওয়ার ২২ বছর পরও কোনো বিধিমালা না থাকার কারণে শিশুটির কোনো ব্যয়ভার সরকার বহন করেনি। উপরন্তু, কুড়িগ্রামের ডিসি শিশুটিকে এতিমখানায় দেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে ১৩ ফেব্রæয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন শিশুটির মা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।