পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লাগামহীন বাজার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর পাশাপাশি আমদানি পর্যায়েও শুল্ক সর্বোচ্চ কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ওই তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ভোক্তা পর্যায়ে নিত্যপণ্যের ভ্যাট তুলে দেওয়াসহ বেশিকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন এবং খুব শক্তভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। ভোজ্যতেলের রিটেইলার ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী এসআরওতে সই করেছেন বলে জানিয়েছেন। সভায় নতুন একটা বিষয় আলোচনা হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে আমদানি পর্যায়েও এসব পণ্যের শুল্ক সর্বোচ্চ কমানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআরকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মিটিংয়ে একটা অবজারভেশন দেওয়া হলো এবং এনবিআরকে ডিরেক্টিভ দেওয়া হয়েছে যে, ইমপোর্ট পর্যায়ে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে সেটা কতটুকু কীভাবে কমানো যায় দেখতে হবে এবং যথা সম্ভব একটু কম পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত। তিনি জানান, আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। আমদানি পর্যায়ে যে ভ্যাট আছে সেটা যথা সম্ভব কমে নিয়ে আসার জন্য এনবিআকে বিবেচনা করার জন্য শিগগিরিই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আমদানি পর্যায়ে কমালে আমাদের ধারণা যে এটার একটা ডিরেক্ট পজেটিভ ইমপ্যাক্ট হবে। তিনি জানান, শুধু ভোজ্যতেল নয়, চিনি বা যেগুলো বেশি প্রয়োজনীয় সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট কমাতে বলা হয়েছে। যেটাই খুবই ক্রাইসিসে থাকবে সেটার ক্ষেত্রে একদম কম পর্যায়ে নিয়ে আসা। সম্ভাব্য লোয়েস্ট একটা সিলিংয়ে যাওয়া। ভ্যাট যথা সম্ভব সহনীয় একেবারে লোয়েস্ট লেভেলে নেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে এনবিআরকে যথা শিগগিরই বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। একেবারে তুলে দিয়ে আবার সমস্যা আছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পুরোপুরি তুলে নিলে এনবিআর বুঝতে পারবে না কী পরিমাণ মালামাল ঢুকলো।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এক মতবিনিময়ে জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, এ দেশের মানুষ উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন পাবে, সুখে-শান্তিতে বাস করবে। কিন্তু আরাধ্য কাজ শেষ করার আগেই তিনি ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন। তার সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার লক্ষ্য। কোনও কিছুর বিনিময়েরও আমি আশা করি না।
প্রধানমন্ত্রী এমইটি প্রেসের মাধ্যমে প্রকাশিত ‘ইনোভেশনস (টেকনোলজি, গভার্নেন্স ও গেøাবালাইজেশন)’ শীর্ষক জার্নালের ভলিউম-১২, ইস্যু ১/২ গ্রহণের পর এর সম্পাদকদ্বয় ফিলিপ অয়ার্সওয়াল্ড ও ইকবাল জেড কাদিরের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় সিআরআই এর ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ইনোভেশনস ভলিউম-১২, ১/২ ইস্যুটি বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে। এই সংখ্যাটিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘স্ট্রিভিং টু রিয়ালাইজ দ্য আইডিয়াস অব মাই ফাদার’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক কোশিক বসু, সম্পাদক ইকবাল জেড কাদিরসহ ৭ জন বিশিষ্ট লেখকের লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখাগুলোতে বিগত ৫০ বছরে, বিশেষ করে বিগত ১৩ বছরে, বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রযাত্রা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সরকার পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার ফলেই আজকের এই অর্জন।
‘স্ট্রিভিং টু রিয়ালাইজ দ্য আইডিয়াস অব মাই ফাদার’ শীর্ষক লেখাটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা-পরবর্তী যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, নির্বাসনের দিনগুলি, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং জনগণের কাছাকাছি যাওয়া, ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত তার সরকারের কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরেছেন। ইনোভেশনস-এর সম্পাদকবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং দেশে জলবায়ু মোকাবিলায় তার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রম তুলে ধরে একটি নিবন্ধ লেখার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী তাদের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।