Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তদবিরকারীকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

রুবেল-বরকতের চাঁদাবাজি মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকার পাচার মামলার আসামি বরকত-রুবেলের পক্ষে তদবির করতে আসায় মো. সুরুজ্জামান নামক এক ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইনফরমেশন স্লিপ দেয়ায় বরকত-রুবেলের আইনজীবী শফিউল্লাহ হায়দার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তাদের জামিন চাওয়া হয়েছিল।

গতকাল রোববার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী এবং বিচারপতি কে এম. জাহিদ সারওয়ারের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে চাঁদাবাজি মামলায় আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ তথ্য জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইনফরমেশন স্লিপ দাখিল করায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান ও মামলার তদবিরকারীকে তলব করেন হাইকোর্ট।
ওইদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেছিলেন, সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকতের জামিন আবেদনের সঙ্গে একটি ইনফরমেশন স্লিপ দাখিল করা হয়। ফরিদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী মশিউর রহমানের স্বাক্ষরিত ইনফরমেশন স্লিপে বলা হয়, চাঁদাবাজির ঘটনায় আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। কিন্তু সরকারপক্ষ ফরিদপুরের আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার তথ্য আদালতে দাখিল করেন। জামিন শুনানির সময় বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিগোচর হলে তাদের তলব করেন।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের ব্যবসায়ী ও কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন দুই ভাই। চাঁদা দিতে না চাইলে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে বরকত-রুবেলের নেতৃত্বে হাতুড়ি বাহিনীর ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তাকে, তার ছেলে এবং গাড়ি চালককে মারধর করে সোয়া ৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়। ঘটনার প্রায় এক বছর পর গত ২০২০ সালের ১২ জুন এ ঘটনায় মামলা করেন শামসুল আলম।

ফরিদপুর শহরের গোলচামত এলাকায় সুবল চন্দ্রের বাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে সাজ্জাদ, রুবেলসহ ৯ জনকে গত বছরের ৭ জুন গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেসহ বিভিন্ন মামলা হয়। এর মধ্যে সিআইডি পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করেন। মানি লন্ডারিংয়ের ওই মামলায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগেও মামলা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ